শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে ভারতের আশ্রয়ে আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতিও দিয়ে আসছেন হাসিনা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের গণমাধ্যমও। তারাও বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে।
এমনকি ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি এবং ভিসা কার্যক্রম একপ্রকারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে একের পর এক হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল মোদির বিজিপি পার্টির নেতারা।
ভারত ও বাংলাদেশের এই টানা-পোড়েন সম্পর্কের উন্নতির ঢাকায় জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বৈঠকে কিছু শর্ত আরোপ করে দেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তাদের দেওয়া সব শর্ত পূরণ হলে তবেই আগের মতো ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক থাকবে বলেন মনে করেন তারা।
এদিকে, বাংলাদেশকে ভারতের শর্তজুড়ে দেওয়ার পর রাজনীতি যেন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ভারতের শর্ত দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত ও আওয়ামী লীগ সভাপতি তাহলে কি কৌশলে পরিবর্তন এনেছেন?
শেখ হাসিনা আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতি দেওয়ায় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল তার বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এই খবরের মধ্যে গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিনার আরেকটি বিবৃতি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শেখ হাসিনার দীর্ঘ বিবৃতিতে নানা বিষয়ে কথা বললেও কোথাও ড. মুহম্মদ ইউনূস বা কোনো বিএনপি নেতার নামের উল্লেখ নেই। তাহলে কি কৌশলে পরিবর্তন করে নতুনভাবে এগোনোর চিন্তা শেখ হাসিনার!
অপরদিকে, ভারতের গণমাধ্যম জানিয়ে আসছে শেখ হাসিনার দেওয়া বিবৃতি সমর্থন করে না দেশটি। তারা জানায় সম্পর্কে ব্যক্তি বিশেষ বা নির্দিষ্ট সরকারে সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না ভারত। দেশটি চায় বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে। ভারতের এই মন্তব্যের পরই কারও নাম উল্লেখ না করেই বিবৃতিতে কড়া বার্তা দেন হাসিনা।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে উড়ে আসেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যদিও বর্তমানে তিনি কোথায় রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে কয়েকশত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে তারই নিজের হাতে গড়া ট্রাইবুনাল।
এম হাসান