ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো বলছে যে, তাদের ছাড়া সংস্কার সম্ভব না। তারা তাহলে ৫৩ বছরে সমস্যার সমাধান করেন নাই কেন? কেন আজকে আমাদের দায়িত্ব নিতে হল?’
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘তাদেরকে ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না, এটা সঠিক কথা। এটাই তো হওয়ার কথা। নির্বাচিত সরকার সমস্যার সমাধান করবেন, তাহলে আজকে আমাকে বায়ূদূষণ নিয়ে আমাকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে? এটাতো আপনাকে বলতে হবে! তাহলে শব্দদূষণ নিয়ে গুলশান সোসাইটির কেন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হচ্ছে? তারা কি কোনো রোডম্যাপ দিয়েছে, কীভাবে সমস্যার সমাধান করবে?’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া যদি সংস্কার সম্ভব না হয় তবে গত ৫৩ বছরে কেন হলো না। রাজনৈতিক দলগুলোকে সেই জবাবটা দিতে হবে। আমাদেরকে কেন কাজ ছেড়ে এসে দায়িত্ব নিতে হচ্ছে? আমরাতো আমাদের কাজগুলো আনন্দের সাথে, সফলতার সাথেই করছিলাম।
নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে তা ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। ৫৩ বছরেও নির্বাচিত রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করতে পারেনি। সেজন্যই অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কার কাজে হাত দিতে হয়েছে।’
এ সময় তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন গেজেট আকারে দ্রুতই প্রকাশ করা হবে।’
বেশ কদিন ধরেই ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। দলটি বলছে, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসে বাকি সংস্কার করবে। তা নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গাড়িচালকদের পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শিহাব