সংগৃহীত ছবি।
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে প্রসিকিউশন টিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক ক্যাডম্যান।
বিচারের জন্য ভারত থেকে কোন প্রক্রিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আনা যাবে, এ নিয়ে চলছে বিভিন্ন আলোচনা। এ পরিস্থিতিতে ভারত থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই শেখ হাসিনাকে ফেরত পাওয়ার আশা করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার করতে কোনো বাধা নেই।
টবি ক্যাডম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে আরও সংশোধন প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়া মেনে পূর্ণ সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি ।
এসময় তিনি আরও বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তারা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে।
আন্তর্জাতিক এ আইন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিচারের ব্যাপারে বাংলাদেশে যে আইন আছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ গঠন শেষে রিকোয়েস্টের পর যদি ফেরত না পাঠানো হয় তাহলে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার বিবেচনা করবে। যদি প্রয়োজন হয়, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সহযোগিতা নেওয়া যায় কি না তা বাংলাদেশ সরকার ঠিক করবে।
এর আগে, চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান, ট্রাইব্যুনালের কাজকে ত্বরান্বিত করতেই এই পরামর্শককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
টবি ক্যাডমান ট্রাইব্যুনালে আগে জামায়াতের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তবে বিগত সরকার তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
ইসরাত