ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

ভারতের কালো হাত ভেঙে দেব: ফয়জুল করীম

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের কালো হাত ভেঙে দেব: ফয়জুল করীম

আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ছবি : সংগৃহীত।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন: যদি ভারত আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে চায়, আমরা তাদের কালো হাত ভেঙে দেব।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম অভিযোগ করেন, “ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়। ইসকন সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠা করে দেশকে ধ্বংস করতে চায়। ভারত কোনদিন আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেনি। সে দেশের সংখ্যালঘুদের সাথে ভালো ব্যাবহার করেনি। ভারতের সংখ্যালঘুরা হার অনুযায়ী চাকরি পায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে ৩৭% সংখ্যালঘু চাকরি পেয়েছে। ৭১-এ ভারত বাংলাদেশে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ২৫ বছরের গোলামি চুক্তির মাধ্যমে আমাদেরকে গোলাম বানিয়েছে। ইসকনকে নিয়ে তারা বাণিজ্য ও চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত পানি বন্ধ করে দিলে আমরা লড়াই করে অধিকার আদায় করবো।”

ভারত সরকারকে সতর্ক করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, “বাংলাদেশের দিকে চোখ তুলবেন না। আঙুল উঠাবেন না, জোরে কথা বলবেন না। যদি আঙ্গুল ওঠাতে চান, তাহলে আঙুল হাতে রাখবো না। যদি চোখ ওঠাতে চান, তাহলে চোখ শরীরের মধ্যে থাকবে না। যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঁচু কণ্ঠে কথা বলেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কণ্ঠকেও চেপে ধরবে। বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে, কিন্তু গোলামি করে না।”

তিনি আরো বলেন, “যদি ভারত আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে চায় তাহলে ভারতের কালো হাতকে ভেঙ্গে দেব। যদি ভারত বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করতে চায় তাহলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতকে এমন শিক্ষা দেবে, এমন পরাস্ত করবে, তাদেরকে এমনভাবে পরাজিত করবে যে পরাজয় ভারত কোনদিন দেখে নাই।”

ফয়জুল করীম আরও বলেন, “ভারত সমগ্র বাংলাদেশকে অপমান ও আঘাত করেছে। ভারত যুদ্ধ করতে চাইলে শুরু করে দিন। আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। বাংলাদেশের মানুষ উপবাস বা ক্ষুধার্ত থাকলেও কারও কাছে মাথা নত করবে না।”

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করছে। ১৯৭১-এর পরে ভারতের কারণে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য জীবন দিয়েছে। ভারতের কারণে ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে যাতে অগ্রসর না হয় সেজন্য আওয়ামী লীগকে ব্যবস্থা করেছিল।”

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ। সম্মেলনের ঘোষণা পাঠ করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানছুর।

নুসরাত

×