মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, মিথ্যা কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে আবার বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে । লন্ডনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
তিনি বলেন, বিদেশী ভদ্র মহিলা বিবিসির সম্ভবত তিনিও এসেছেন এই বিষয়গুলো জানার জন্য এমন ভাবে ছড়িয়েছে চারদিকে যে বাংলাদেশে সংখ্যারদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে । বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে । শেখ হাসিনা যিনি বাংলাদেশের মানুষের উপর অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন, খুন করেছেন, হত্যা করেছেন । ২০০০ তরুণকে হত্যা করেছেন আমাদের ইলিয়াস আলী সহ ৭০০ মানুষকে গুম করে দিয়েছেন । বেগম খালেদা জিয়া তাকে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রেখেছিলেন । আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করেছেন । সেই শেখ হাসিনাকে আজকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে এবং সেই শেখ হাসিনা আবার তার দলবল নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে নতুন করে চক্রান্ত সৃষ্টি করছে । এই চক্রান্ত সৃষ্টি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র সার্বভৌমত্ব সে বিনষ্ট করতে চাইছে । যে মহিলা একসময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই মহিলা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে । সেই মহিলা আজকে ভারতে বসে বিদেশে বসে বাংলাদেশকে কিভাবে ক্ষতি করা যাবে। কিভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা যাবে । কিভাবে বাংলাদেশকে আবার অন্ধকার দিকে ছেড়ে যাওয়া যাবে সেই ষড়যন্ত্র চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন । এদের কখনো ক্ষমা করা যায় না। শেখ হাসিনাকে এই হত্যার অপরাধে খুনের অপরাধে গণহত্যার অপরাধে অবশ্যই দ্রুত বিচার হতে হবে। ঠিক এবং যারা তার সঙ্গে সহযোগিতা করেছে তাদেরও বিচার হতে হবে ।
ভারত আমাদের প্রতিবেশী সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী । আমাদের বন্ধু আমাদের যুদ্ধের সময় ১৯৭১ যুদ্ধের সময় আমাদের সহযোগিতা করেছিল । আমরা ভারতের কাছে সবসময় প্রত্যাশা করি যে, ভারত বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে । কোন একটা বিশেষ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়ে সে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না । এ কথা আমরা প্রত্যাশা করি তার কাছ থেকে আমরা আশা করি যে, ভারত তার যে অতীতে এই যে ভুল করেছে এবং বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করেছে এটাকে তারা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবে এবং তাদের এখন যে কার্যকলাপ যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে করছে সেই কার্যকলাপ গুলোকে তারা বন্ধ করবে আমাদের খুব কষ্ট হয় যখন আমরা দেখি অহেতুক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে আবার বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে । ডেপুটি হাই কমিশনার অফিস আক্রান্ত হয়েছে। কলকাতায় হাই কমিশনার ডেপুটি হাই কমিশন অফিসে আপনার আক্রান্ত হয়েছে এবং মিছিল নিয়ে আপনাদের সিলেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছে ।
এটা কোন ধরনের বন্ধুত্ব? এটা কোন ধরনের প্রতিবেশীর কাজ ? আমরা তাই আবারো ভারতবর্ষকে অনুরোধ জানাতে চাই। তাদের কাছে আমরা নিবেদন করতে চাই যে, আপনি অনেক বড় দেশ কিন্তু তাই বলে এই বাংলাদেশ যে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে যে সংগ্রাম করে লড়াই করে যে গণতন্ত্রকে আদায় করে নিয়েছে যারা বুকে রক্ত দিয়ে তাদের অধিকারকে আদায় করেছে তাদেরকে খাটো করে দেখে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না । কারণ বাংলাদেশের মানুষ কখনোই তা মেনে নেবে না ।
রাজু