ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি ও পুড়িয়ে দেওয়া গাড়ি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখনো খোঁজ মেলেনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের।
কারো মতে তিনি বিদেশে পালিয়েছেন, আবার কারও মতে এখনো দেশেই আত্মগোপনে আছেন হাসিনা সরকারের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাক্তি।
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থানার বড়রাজাপুরে তার বিলাসবহুল বাড়ি ও রাজনৈতিক কার্যালয় গত ১৬ বছর রাত - দিন দলীয় নেতাকর্মীদের ভিরে ঠাসা ছিলো। মাঝে মাঝে সেখানে গেলে তাকে দেওয়া হতো রাজকীয় অভ্যর্থনা এবং ছিটানো ফুলে তৈরী হতো গালিচা।
গত ৫ই আগস্টের পরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে না যেতেই অদৃশ্য হয়ে গেসেন ওবায়দুল কাদের এমনকি তার আত্মীয়- স্বজনরাও।
তার সেই আলিশান বাড়িটি এখন যেন জনমানবশূন্য ভূতের বাড়ি!
৫ আগস্টের বিক্ষুব্ধ ছাত্র- জনতা সেখানে হামলা চালায়, বাড়ির ভিতরে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, ভাংচুর হয় বিভিন্ন ভবন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১৫ বছর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সত্বেও চোখে পড়ার মতো কোন উন্নয়ন করেননি নিজ নির্বাচনী এলাকায়। জনপ্রতিনিধী নয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই এলাকায় যেতেন শুধু মাত্র রাজনৈতিক সভা ও চাঁদা নেওয়ার জন্য। সেই সাথে এলাকায় তৈরী করেছিলেন অবাধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, যার বিরুদ্ধে মুখ খোলারও সাহস পেতেন না কেউ।
পট পরিবর্তনের পরেও কাদের পরিবারের দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ণের বিরুদ্ধে এখনো প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পান স্থানীয়রা। সাধারণ মানুষ ভয় পেলেও আপন ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা প্রায় সময়ই অভিযোগ তোলেন কাদের দম্পতির বিরুদ্ধে। "বাংলা ভাই" এর কায়দায় এলাকায় সন্ত্রাসের বিস্তার ও অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ তোলেন পশুরহাটের সাবেক মেয়র।
এতো অভিযোগ যেই ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকারি কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি ধরে নীতিকথা শোনাতেন।
উল্লেখ্য, কোম্পানিগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী ৫ আসন থেকে সর্বশেষ ৫টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তিনি। কিন্তু প্রতিটি নির্বাচনই ছিলো বিতর্কিত।
রিয়াদ