বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহো দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির ৮৩ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আজ, ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত দুই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শাহবাগ থানার নাশকতার মামলায় ফখরুলসহ ৩৭ জন ও রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় ফখরুলসহ ৮৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলায় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর শাহবাগ থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
পরে তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। পরে গত ১২ নভেম্বর আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন।
এ মামলায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব - উন - নবী সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। এ ছাড়া ২০২৩ সালের গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক ও গেটে হামলা চালান।
অপর মামলায় বলা হয়, ২০২৩ সালের গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালায় ও ভেতরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর এ মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৮৩ জনের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় ডিবি ।
গত ১৮ নভেম্বর আদালত এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন।
রিয়াদ