ডা. শফিকুর রহমান
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান সবাইকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই, যেখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ থাকবে। সব ধর্মের সব মানুষকে আমাদের সম্মান করতে হবে।’
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির জগন্নাথকাঠি বন্দরের উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ের সামনে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরূপকাঠি উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ যদি দুনিয়াতে বহু জাতির মানুষদের লালন-পালন করতে পারেন। তাহলে মানুষকে ঘৃণা করার আমি কে? দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সবার সমান অধিকার থাকতে হবে। সে রকম একটা সম্প্রীতির বাংলাদেশ আমরা চাই।
একটা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। দোয়া করবেন সেই বাংলাদেশ যেন আমরা গড়তে পারি। এ জন্য আমরা আপনাদের দোয়া চাই আপনাদের পাশে চাই।’
তিনি বলেন, ‘পিরোজপুর জেলা আমাদের একটা আবেগের জেলা, এটা একটি সৌভাগ্যবান জেলা, এই জেলায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্ম।
বিগত সরকারের সময় দেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও বহু রাস্তা দিয়ে একা একা সাবধানতা এবং সতর্কতার সঙ্গে ঘুরেছি। কোনো কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। দেশ থেকে বিদেশে সফর করতে যাব সেখানে আমাকে আটকানো হয়েছে। আমার পাসপোর্ট দুই বছর আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। অনেক যুদ্ধ ও লড়াই করে পাসপোর্ট আনতে হয়েছে।
আমি কি চোর, ডাকাত নাকি খুনি ছিলাম? কেন একজন নাগরিক হিসেবে আমার পাসপোর্ট আমি পাইনি।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আমাদের ওপর একটি পাথর চাপা পড়ে ছিল। আল্লাহ ১৮ কোটি মানুষের চোখের পানি কবুল করেছেন। বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের একটি মুক্তির স্বাদ দিয়েছেন। মুক্তি এমনি এমনি আসে নাই। সাড়ে ১৫ বছরে হাজারো মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে, লাখ লাখ মানুষকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। দফায় দফায় বহু মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে দল-মত-নির্বিশেষে বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। এসব জীবনের বিনিময়ে আমাদের এই স্বস্তিটুকু এসেছে।’
যুব সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর দয়া চাই তিনি যত দিন আমাকে হায়াত দেবেন আমি যেন যৌবন নিয়ে বাঁচতে পারি। তোমাদের কথা দিচ্ছি তোমাদের মিছিলে আমি থাকব। তোমাদের হাত ধরেই আমাদের দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক।’
শিহাব