ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে বলেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা তার রাজনীতির জন্য সঠিক পদক্ষেপ নয়।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে অপপ্রচার নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন মিশনে দায়িত্বরত বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি এই বক্তব্য কেন দিলেন তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি মনে করি এই বক্তব্য তার রাজনীতির জন্য সঠিক পদক্ষেপ নয়।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা বলেন, আসলেই ৫ আগস্টের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে সমস্যা চলছে। এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে আমরা স্বাভাবিক, ভালো সুসম্পর্ক চাই। এই সম্পর্কে অন্তরের চেয়ে স্বার্থই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্ক স্বার্থের মধ্যেই দিয়ে দেখতে হবে। ভারতের স্বার্থ কি সেটা আমি বুঝতে পারব না। তারাই তাদের স্বার্থটা বুঝবে।
এর আগে ভারতের স্থানীয় সময় দুপরে বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বর্ডার সিকিউরিটি কেন্দ্রের আওতায়। আমাদের এখতিয়ার বা দায়িত্বে নেই। আমরা হাউসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী যেন সংসদে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলেন। যদি প্রধানমন্ত্রীর অসুবিধা থাকে কোনো বিষয়ে, তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেন সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান, কেন্দ্র এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় পরামর্শ, যদি এ জাতীয় ঘটনা (সহিংসতা) ঘটতে থাকে, তাহলে আমরা আমাদের লোকদের ফিরিয়ে আনব। সরকার উদ্যোগ নেবে। তারা ফিরে এলে থাকার, খাওয়ার কোনো সমস্যা হবে না। কোনো ভারতীয়ের ওপর অত্যাচার হবে, সেটা আমরা হতে দিতে পারি না।
ব্রিফিংয়ে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মান, জাপান, চীন, কানাডা, সৌদি আরব, ইরান, সিঙ্গাপুর পাকিস্তানসহ একাধিক রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিও।
শিহাব