ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

ডক্টর জিয়াউল ইসলাম মুন্না

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বার বার চাপ দেওয়া হয়েছিল

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ২ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১০:৪৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বার বার চাপ দেওয়া হয়েছিল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট অর্থাৎ বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল সেই ট্রাস্টে বিএনপিরই এক ব্যবসায়ীর দেয়া অর্থের নাকি সঠিক ব্যবহার হয়নি। এটি নিয়েই মামলা যেটি নিয়ে পরবর্তীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সহ আরো চারজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি ২৭ নভেম্বরে এই মামলার সবাই যখন খালাস পেয়েছেন। মামলার অন্যতম আসামি সে সময় অভিযুক্ত ছিলেন উনিও খালাস পেয়েছেন ডক্টর জিয়াউল ইসলাম মুন্না।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর অনেক কষ্ট করেছি। জেল জুলুম অনেক কিছু ছিল আমার উপর এবং আমরা যারা ছিলাম সবার উপর আমরা এই মামলা ছাড়া আরো বিভিন্ন মামলা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে ম্যাডাম, তারেক রহমান সাহেব সবার উপর মামলা তারা দিয়েছিল। মিথ্যা ৪০০/৩০০ করে মামলা ছিল। এখন এক এক করে সবার মামলায় খালাস হচ্ছে । একটি অন্যতম মামলা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট । এই মামলাটা খালাস হয়েছে উচ্চ আদালত থেকে । আমরা সবাই বেকসুর খালাস মামলা অবৈধ ঘোষণা হয়েছে ।

ম্যাডাম খালেদা জিয়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উনার পার্সোনাল উইংএর এপিএস আমি বিশেষ করে রাজনৈতিক সচিব হারিশ চৌধুরী সাহেবের এপিএস ছিলাম। এইখানে আমি জড়ালাম আসলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এই কাজটি আমি ছাড়া অন্য যে কেউ করতে পারতো। আমি যে কাজটা করেছি সেই কাজটা আমি ছাড়া অন্য যে কেউ করলে সেই একই পরিণতি হতো।  আমার পোস্টিং আমি বিআইডব্লিউটি এর কর্মকর্তা ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে সরকার প্রেশনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আমার চাকরি ন্যাস্ত করেছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এই ট্রাস্ট ডিডটা ট্রাস্ট ডিড এটা ১৮৮৮ সালের যে ট্রাস্ট ডিড অনুযায়ী ট্রাস্ট ডিস্টটা করা এবং এই কার্যবালই আমার উপর ন্যাস্ত হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিশ চৌধুরী সাহেব আমাকে দিয়ে এই কাজগুলো করিয়েছেন। আমি ট্রাস্টটি তৎকালীন যারা আইন বিশেষজ্ঞ ছিলেন, তারা হলেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মৌদুদ আহমেদ এবং নাজমুল হুদা সাহেব, ব্যারিস্টার আমিনুল হক। 

১৯৭৯ সাল থেকে বা বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে যখন ধানমন্ডিতে অফিস ছিল। তাদের কিছু একাউন্টে প্রায় ৬ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার মতো এফডিআর করে জিয়া চ্যাটেবল ট্রাস্ট নামে। যে একাউন্ট বেগম খালেদা জিয়ার নামে এই একাউন্টে এফডিআর করে আমার উপর নির্দেশ ছিল যে, আমি এফডিআর করে এই একাউন্টে ম্যাডামের একাউন্টে টাকা জমা করেছি। তারপরে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা এটা একটা ফান্ড কালেকশন প্রয়াত হারিস চৌধুরী সাহেব এবং প্রয়াত লেফটেনেন্ট কর্নেল আকবর সাহেব উনারা পার্টি অফিসে বসে এটা কিছু চাঁদা কিছু অনুদান দুই এক লাখ, ৫০ হাজার করে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা দিয়েছেন । এই ২৭ লক্ষ টাকা আমি পেইন স্লিপে আমি জমা দিয়েছি এর বাইরে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা বিএনপিকে যারা ভালোবাসেন তারা অনুদান হিসেবে এখানে দিয়েছেন । 
আমি জমা দিয়েছি যে একটা দুই তৃতীয়াংশ ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার সেই সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটে নির্বাচিত তার একাউন্টে টাকা জমা দিব এখানে আমি অন্য কিছু চিন্তা করিনি সরল বিশ্বাসীকৃত এবং এটা কম্পালশন আমার উপরে দায়িত্ব কাজ আমি করেছি আমি তো টাকাটা কোন মানি লন্ডারিং করিনি অন্যায়নে আমি কোন অর্থ পাচারও করিনি আমার বিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী উনি এসব জেরার সময় বলেছেন কোর্টে বলেছেন কিন্তু আদালত এসব গ্রাহ্য করেনি এই ৫৫ লক্ষ টাকা এবং আপনার এই টোটাল পে অর্ডারটা দুইটা পে অর্ডারে উনি দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পে অর্ডারটি আমি এবং প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকা আমরা সোনালী ব্যাংক ওই কম্পাউন্ডের ভিতরে প্রাইম মিনিস্টার অফিসে না সাদেক হোসেন খোকা আমরা দুইজন গেলাম। যেয়ে এখন ব্যাংকের ম্যানেজার সাহেব বললেন যে, পে অর্ডার করতে হবে স্যার এটা একটু আপনি সিগনেচার দেন তো আমি তো আর খোকা সাহেবকে বলতে পারি না যে আপনি সিগনেচার দেন উনি একজন মাননীয় মেয়র তো আমি এটা সিগনেচার দিলাম এবং আমি পে অর্ডারটা করলাম। এই পে অর্ডারটা জমা দিলাম এবং এই পে অর্ডারটা যে যে জমির যে বিক্রেতা সুরাইয়া খান উনি এমনি ইন্টারন্যাশনালের যে প্রেসিডেন্ট আইরিন খান তার মা সুরাইয়া খান ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া বেয়াইন মানে আমাদের তারেক রহমান সাহেবের তাদেরই ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এই জমিটা ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে । আমি উনাদের উইঙ্গের এপিএস হিসেবে কাজটা করেছি এটা তো আমার কোন অপরাধ হতে পারে না তো যেকোনো প্রধানমন্ত্রী বললে আমি মনে করি মানে সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে কম্পিটিশন লাগবে কে কাজটা করবে তো এর জন্য আমার জীবন থেকে ১৬ বছর তারা কেড়ে নিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ।

এই ট্রাস্টটা বেসিক্যালি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ১৮০০/৮২ এই অনুযায়ী ট্রাস্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী হয় এই ট্রাস্টের উদ্দেশ্য ছিল যে, বিএনপি পরিচালনা এই ট্রাস্টের মাধ্যমে হবে একটি দল পরিচালনা করতে গেলে অনেক খরচ লাগে ব্যয় নির্বাহ হয় । বিএনপির খরচটা এই ট্রাস্টের মাধ্যমে হবে এবং এখানে যারা এতিম অনাথ যারা দরিদ্র লোক বন্যা বানবাসী লোক গরীব লোক এই ট্রাস্টে টাকা থাকবে এবং ট্রাস্টের মাধ্যমে এই টাকাগুলো খরচ হবে। আমরা জানি যে বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী উনি অনেক দরিদ্র ছেলেমেয়েদেরকে বৃত্তি দিয়ে থাকেন। এতিমখানায় অনুদান দিয়ে থাকেন এই উদ্দেশ্যেই মেইনলি ট্রাস্টটা গঠিত হয়েছিল। সেটা কি হচ্ছে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নাকি অরফানেস জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট অরফানেস ।

দুই কোটি টাকা আছে ব্যাংকে এখন হয়েছে আট কোটি টাকা । চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এটার উপলক্ষটা হলো এক খন্ড জমি।  রমনা মৌজায় নয়াপল্টনের উল্টা দিকে এই জমিটা ৪২ কাটা জমি। জমিটা এখন অবমুক্ত হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এই ব্যাপারে কথা বলার জন্য মামলার বাদী এবং আইও হারুন রশিদ সাহেব দুদকের উনি আমাকে নোটিশ করলেন আমি গেলাম জিজ্ঞাসাবাদে।  
জিজ্ঞাসাবাদে উনি প্রথমে আমাকে বললেন যে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে জিয়া অফ ফেনান্স ট্রাস্টে একজন আসামি ছিলেন উনিও সরকারি কর্মকর্তা ওখানে ছিলেন ডক্টর কামাল সিদ্দিকী উনার পিএস ছিলেন। সৈয়দ জগলুল পাশা আমাকে উনি নাম ধরেই বললেন যে, ৮২ ব্যাচের বিসিএস প্রশাসনের কর্মকর্তা জগলুল পাশা সাহেব সাক্ষী হয়েছেন। আপনি কিন্তু আসামি হবেন স্যার । আমি বললাম কার বিরুদ্ধে সাক্ষী? বললেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার আমি বললাম আমি ধর্মকর্ম করি আমি জানি এই সাক্ষীর দিলে দুনিয়াও শেষ আখেরাতও শেষ আমার।

আমি কোনদিন সাক্ষী হতে পারবো না। মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য তারা বললেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এই টাকাটা আমাকে বলে খরচ করিয়েছেন । এসব বলাতে আমি বললাম উনার সাথে তো আমার দেখা খুব কম হতো আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন উনার রাজনৈতিক সচিব হারিশ চৌধুরী অথবা কর্নেল আকবর বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তো আমি কালাব্রেও খুব কম দেখা করতাম আমাদের কোন প্রোগ্রাম হলে আমরা যেতাম আমাদের যাওয়ার এখানে প্রশ্ন নাই উনি আমাকে কোন নির্দেশই দেন নাই। উনি কোন সিগনেচারই করেন নাই । আমি কেন মিথ্যা একটা সাক্ষী দিব । তারপরে উনি বললেন আপনি আসামি হবেন । বলছি আসামি তো আমি হই না । যদি আপনি আসামি করতে চান করেন আমার তো কিছু করার নাই আমি আইনে মোকাবেলা করব এই তারপরে দেখি আমি আসামি হয়ে গেলাম এবং আসামি হওয়ার পরে যখন চার্জ শিট হলো আমাকে সাসপেন্ড করা হলো চাকুরি থেকে ১৬ টা বছর আমি সাসপেন্ড ছিলাম এবং আমি খোরাকি ভাতা মানে চতুর্থ গ্রেডের একটা কর্মচারী যে বেতন পায় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা সেই বেতনে আমি ছিলাম মানে। ১৬টা বছর এবং আমার সাথে কোন সরকারি কর্মকর্তা কথা বলতেও ভয় পেতেন আমাকে দেখলে উনারা সরে যেতেন । নিগৃহীত হয়েছি আমরা পারিবারিকভাবে সামাজিকভাবে আমার স্ত্রী একজন দক্ষ মেধাবি কর্মকর্তা ১৫তম বিসিএস এর প্রথম দিকের কর্মকর্তা মেরিটে তাকেও ১৬ থেকে ১৮ বার সুপারসিডেট করা হয়েছে তাকে কোন প্রধানতি পদোন্নতি দেওয়া হয় নাই তার তো কোন অপরাধ নাই। 

এক্স প্রাইম মিনিস্টার ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনি পার্সোনালি এটা মনিটরিং করতেন এবং উনি সরাসরি পিপি মোশারফ হোসেন কাজলের সাথে কথা বলতেন এবং জজ দুই একবার চেঞ্জ হয়েছিল জজরা প্রত্যেকজন জজের সাথে কথা বলতেন এবং নিজে উনি এটা পার্সোনালি বেগম খালেদা জিয়া ম্যাডামকে হে করার জন্য উনি ইস্যু হিসেবে এটা নিয়েছেন এবং উনি এটা মনিটরিংকরতেন । আপনারা জানেন যে মোশারফ হোসেন কাজল এবং আইনজীব আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল

দুর্নীতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর আপনার পাঁচ এর দুই ধারা এবং প্যানেল কোডের প্যানেল কোডের ১০৯ নাম্বার ধারা যেটা এভবেটমেন্ট সহযোগিতা এই ধারাগুলা আমাদের উপরে প্রয়োগ করা হয়েছে এতে শাস্তির বিধান আছে দুই থেকে সাত বছর সর্বোচ্চ শাস্তি আমাদের উপরে প্রয়োগ করা হয়েছে সাত বছর ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং সশ্রম কারাদণ্ড এবং কোন জামিন ছিল না আমাদের জামিনের ফাইল হাইকোর্টে থাকলে হাইকোর্টে গেলে বলা হইতো যে উনারা এম্বারেস ফিল করতেন কোন জামিন জামিনেরও ব্যবস্থা ছিল না ।

রাজু

×