সংগৃহীত ছবি।
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার সকালে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত উল্লেখ করেছেন, ২১ আগস্টের হামলার জন্য যে গ্রেনেড সরবরাহ করা হয়েছিল, তা অভিযোগপত্রে কোনো তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেননি। তদুপরি, গ্রেনেড কে ছুঁড়েছে তাও কোনো সাক্ষী নির্দিষ্ট করেননি।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা শুরু হয়। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রায় ঘোষণা শুরু হয়।
গত ২১ নভেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন হাইকোর্ট। সে সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি গত ৩১ অক্টোবর শুরু হয়। এর আগে ২৩ অক্টোবর এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় প্রদান করে। রায়ে বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১৪ জন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) সদস্য ছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও হুজির সাবেক আমির শেখ আবদুস সালাম ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর ওই বছরেই হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে এবং দণ্ডিত কারাবন্দিরা আপিল করেন।
নুসরাত