রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে আওয়ামী লীগের শাসনামলে তাঁর জেল জীবনের নানা স্মৃতি এবং রিমান্ডের ভয়াভহ নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন।
যেখানে মি.রিজভী বলেন, পনের এর আন্দোলনে তাঁকে টানা পঁয়ত্রিশ দিন রিমান্ডে রাখা হয়। পঁয়ত্রিশ দিনের মধ্যে ২২ দিন ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগে আর ১৩ দিন ছিলেন মোহাম্মদপুর থানায়।থানায় অতটা সমস্যা না হওয়ার কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন,থানায় তাকে বই পড়তে দেওয়া হতো।অবশ্য ডিবিতে সেটাও করতে দেওয়া হত না।সেবার প্রায় এক বছর জেলে ছিলেন মি. রিজভী।
২০১৬ সালের কথা উল্লেখ করে মি. রিজভী বলেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তখন তাঁকে দুই মাসের জন্য আটক রাখা হয়।
রিমান্ডে থাকাকালীন মি. রিজভী উল্লেখ করেন তাঁকে সেখানে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি তাঁর সাথে দুব্যবহারও করা হয়েছে।গায়ে হাত না দিলেও মেঝেতে শুয়ে রাখা হত।খাওয়া নিয়েও করা হত নানা ধরণের হেনস্তা।
যারা রাজনীতিতে রিজভীর থেকে জুনিয়র ছিলেন তাদের অনেককে ঝুলিয়ে ,চোখ বেঁধে ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো।হাতের নখ, পায়ের নখ তুলে দেওয়া থেকে সব কিছুই করা হতো সেখানে।নির্যাতনের মাত্রা যা ভাষায় বর্ণনা করার মত নয় ।
মেঝেতে ঘুমানোর জায়গায় বড় বড় ইঁদুর প্রায় সময় দেখা দিত,যাতে তারা ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন নি।জেলে তারা কামরায় শুধু ইঁদুর নয় মাঝে মাঝে দেখা পেতেন বেজিরও।
ডিবি প্রধান হারুণের অফিস কক্ষের নিচের কামরায় ছিলেন অনুমান করে মি. রিজভী আরো বলেন, ২৪ এর আন্দোলনে বিএনপির সব নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে আসা হল।তারপরেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাকি সারজিস আলমসহ অন্যদেরকেও নিয়ে আসা হলো।
ফুয়াদ