মিরপুর-পল্লাবীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বিতর্কিত কর্মকান্ড আর বক্তব্য দিয়ে সবসময়ই আলোচনায় ছিলেন। সরকারি জমি দখলে সে ছিলো সিদ্ধহস্ত। শেখ হাসিনার ক্ষমতার ১৬ বছরে দুয়ারীপাড়ায় এক দাগে দখলে নিয়েছেন ওয়াকফ এস্টেটের ১১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার জমি। ইলিয়াম মোল্লা এখন পলাতক। কিন্তু তার সহযোগিরা ক্ষমতার পালা বদলের পরও সেই জমি এখনো দখলে রেখেছে।
মিরপুর ১ নম্বরে ঢাকা চিড়িয়াখানার নামে বরাদ্দ হওয়া প্রায় দুই একর জমি দখল এবং মিরপুর ২ নম্বরে তুরাগ নদের অংশ ভরাট করে দুই শতাধিক বস্তিঘর গড়ে তোলারও অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। তুরাগ নদের কিছু অংশ ভরাট করে বস্তি তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘ইলিয়াস মোল্লার বস্তি’ হিসেবে পরিচিত। এখানে দুই শতাধিক ঘর রয়েছে। অবৈধ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগও রয়েছে।
ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির জন্য তিনি অর্ধশত সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। বিভিন্ন বস্তি, মার্কেট, দোকান ও বাসস্ট্যান্ড থেকে এই ক্যাডার বাহিনী নিয়মিত চাঁদা তুলত। দুয়ারীপাড়া কাঁচাবাজার সড়কের দুই ধারে গড়ে ওঠা কয়েক শ দোকানের নিয়ন্ত্রণও ইলিয়াস মোল্লার অনুসারীদের হাতে। তিন অনুসারী লতিফ, সুজন ও লুৎফরের নাম বলেছেন দোকানিরা।
জমি থেকে উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বছরে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়। এ ছাড়া সেখানে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ দিয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে প্রতি মাসে বিল বাবদ এবং ভাড়ার নামে টাকা তুলতেন। সরকারি তহবিলে এই টাকা জমা হতো না, ঢুকত ইলিয়াস মোল্লা ও তাঁর অনুসারীদের পকেটে। এসব প্লটের আয়তন পৌনে দুই, আড়াই ও তিন কাঠা।
রাজু