জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা একনাগাড়ে ১৫ বছর ধরে শাসনামলে দুর্নীতি, হত্যাকাণ্ড, গুম ও জুলুম চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ক্ষমা দেখানো হবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, অধ্যাপক গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো নেতাদের তারা হত্যার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করেছে। জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে তারা নানা অপকৌশল ব্যবহার করেছিল, তবে আল্লাহ তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন, এ জন্য তিনি শোকরিয়া প্রকাশ করেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দেশের প্রতিটি শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিল শিশু, তরুণ, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। এই আন্দোলনে গুলি ও অত্যাচারের সামনে দাঁড়িয়ে যাদের আত্মদান ঘটেছে, তারা সবাই জাতির বীর। তাদের ত্যাগের জন্য আমরা গর্বিত।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, ওই অভ্যুত্থানে কোন দল বা ধর্মের সীমাবদ্ধতা ছিল না; বরং দেশের মানুষ এক অভূতপূর্ব ঐক্যে একত্রিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ঐক্য ধরে রাখতে হবে, যাতে কেউ তার বিনাশ করতে না পারে। কোনো ধরনের জাতি বা ধর্মীয় বৈষম্য তাদের উদ্দেশ্য নয়।
এছাড়া তিনি মন্তব্য করেন, অভ্যুত্থানের পর জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠেনি। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "কোনো অবস্থাতেই কাউকে শারীরিক আঘাত করবেন না, আমরা জানি আত্মত্যাগ করতে। সবাই আমাদের মধ্যে আবু সাঈদ।"
বক্তৃতা শেষে, ডা. শফিকুর রহমান নিহত জামায়াত কর্মী আমিনুল ইসলাম সজলের সন্তানকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে আদর করেন। সজল সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
এরপর ডা. শফিকুর রহমান যশোরের ঝিকরগাছা ও নাভারনে পৃথক দুটি পথসভায় বক্তৃতা দেন। শনিবার, তিনি সাতক্ষীরায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
নুসরাত