ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজত ইসলাম
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে আসার চেষ্টা করছে। অথচ এখন পর্যন্ত এদেশে কোনো হিন্দু ভাইয়ের গায়ে একটি ফুলের টোকাও পড়েনি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ও চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জানা গেছে, জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শত শত মুসল্লি অংশ নেন। মিছিল থেকে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ওঠে।
বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী বলেন, লুট করা টাকা তারা এখন খরচ করছে। সেসব ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। প্রশাসনের কাছে দাবি, অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আহমদ আলী কাসেমী আরও বলেন, ভারতকে তোষণ করে ক্ষমতায় আসা যাবে না। আওয়ামী লীগ ইসকনের ওপর ভর করে আবারও আসতে চায়। কিন্তু এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।
দলটির আরেক নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, ইসকন কোনো হিন্দু সংগঠন নয়। তারা একটি জঙ্গি সংগঠন। ভারত এই দেশকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে, সেটা সফল হতে দেওয়া যাবে না।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন বলেন, ইসকনের বিরুদ্ধে বলা মানে হিন্দু ভাইদের বিরুদ্ধে বলা নয়। আমাদের হিন্দু ভাইদের আমরা নিরাপত্তা দেব।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মুফতি বশিরুলাহ, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতি কামাল উদ্দীন, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা শরিফ উল্লাহ, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা শরিফ হোসাইন ও মাওলানা বশিরুল হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার জামিয়া রাহমিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।
বৈঠকে নেতারা বলেন, দেশের পরাজিত শক্তি হিন্দুদের একটি অংশকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই দেশকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে ইসকন। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে তাকে গৃহযুদ্ধ বাধানোর অপপ্রয়াস ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে?