জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: জনকন্ঠ
জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শুধু পূর্ণ বয়স্করা যুদ্ধ করেনি। সবাই মিলে যুদ্ধ করেছে। কোলের শিশুও শাহাদৎবরণ করেছে। ৮০ বছরের বৃদ্ধও শাহাদৎ বরণ করেছে। একই সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। আমাদের এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এই ঐক্যের কোন ফাঁক দিয়ে যেন কেউ ঢুকে ঐক্য বিনষ্ট করতে না পারে। এই জন্য ছাত্রজনতা বাংলাদেশের সকল জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।’
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে যশোর শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ে পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
জামায়াতের আমীর ড. শফিকুর রহমান বলেন,‘পতিত সরকারের আমলে সবচেয়ে মজলুম দল ছিলো জামায়াতে ইসলামী। বিপ্লবের পরেও আমরা উল্লাসে ফেটে পড়েনি। সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলাম। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী নিদেশনা মেনে চলেছেন। দেশের কোন প্রান্তের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসেনি।’
জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান আরও বলেন, যারা আমাদের উপর যারা ফ্যাসিবাদের থাবা বিস্তার করেছিলেন, এক নাগাড়ে সাড়ে ১৫ বছর তান্ডব চালিয়েছিলেন। যারা মানুষকে খুন, গুম করেছিলেন, যারা মানুষের ইজ্জত লুষ্ঠন করেছেন, যারা বাংলাদেশের সম্পদ লুষ্ঠন করে বিদেশের মাঠিতে প্রসাদ তৈরি করেছেন তাদেরকে আমরা ক্ষমা করবো না। তাদের প্রত্যোকের অপরাধের বিচার করতে হবে। তবে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে মজলুম দল। এই দলের শীর্ষ নেতাদের বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। পরে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে দেশে থেকে নির্মূল করতে চেয়েছিলো। যারা আমাদেরকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলো। সৃষ্টিকর্তা কার্যত এই জমিতে তাদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের কোন কৃতিত্ব নেই। সমস্ত কৃতত্ব সৃষ্টিকর্তার। এই জন্য এই বিপ্লব, এই বিজয়ের পর আমরা কোন উল্লাস করেনি। আমরা দেশবাসী, সহকর্মীকে বিশেষভাবে অনুরাধ করেছিলাম, আপনারা সৃষ্টিকর্তার জন্য সেজদাতে পড়ুন, চোখের পানি দিয়ে আল্লাহকে শুকরিয়া করুন। এই কারণে দেশের কোন প্রান্তে কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠেনি।'
এই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন-জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল, সংগঠনের নেতা গোলাম কুদ্দুস, বেলাল হোসাইন, শাহাবুদ্দিন, শামসুজ্জামান, রেজাউল করিম প্রমুখ।
তাবিব