মামুনুল হক। ফাইল ফটো
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক বলেছেন, চিন্ময় দাশকে ভালোভাবে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাংলাদেশবিরোধী তথ্যগুলো আপনারা উদঘাটন করুন। শেখ হাসিনা তাকে কত টাকা দিয়ে তার বাহিনীকে দেশের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে সে তথ্য উদঘাটন করুন। ভারত তাকে (চিন্ময়) কী মন্ত্র দিয়ে বারবার পাঠাচ্ছে সেই তথ্যগুলো উদঘাটন করে বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তির সকল তথ্য উন্মোচন করুন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন হেফাজত অনুসারীরা। সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন মামুনুল হক।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম আহ্বান জানাচ্ছে, আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড আমাদের স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রক্তের হোলি খেলা। এটাই হচ্ছে -বাংলাদেশবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র। কাজেই তাদের এই ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদে আমরা পা দেব না।
‘আমরা কোনোভাই সহিংস কোনো কর্মসূচি পালন করব না। শান্তিপূর্ণভাবে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলব। শান্তি হবে আমাদের হাতিয়ার, ধৈর্য হবে আমাদের সৌন্দর্য। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা ধৈর্য ধারণ করব।’
বিক্ষোভ-সমাবেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলতে চাই, এটা স্পষ্ট যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ভিনদেশি গুপ্তচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। সে তার প্রভুর দেশে গিয়ে সেখান থেকে নির্দেশনা নিয়ে এসে- বাংলাদেশের ভেতরে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চালিয়েছে’।
‘দিনের পর দিন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে ভারত ও আওয়ামী লীগ ইসকন তৈরি করেছে। এই ইসকনকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ ও ভারতকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে, বাংলাদেশ তোমাদের ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করবে না। আমরা রক্ত দেব, জীবন দেব, লড়াই করব, বাংলাদেশের গৌরব রক্ষা করব।’
ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশেই বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ হয়েছে। বায়তুল মোকাররমের গেইটে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এসআর