ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা এত ভয়াবহ অনেকেই তা বলতে চায় না: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ২৮ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২৩:৪৩, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা এত ভয়াবহ অনেকেই তা বলতে চায় না: নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত।

আয়নাঘরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতাসহ অসংখ্য নিপীড়নের গল্প আছে এবং এগুলো এতটাই ভয়াবহ যে, তারা এখনও সেগুলো বলতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

তিনি এসব কথা বলেছেন ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ‘বিদ্রূপ ও উপহাসের রাজনীতি: জুলাই বিদ্রোহের সময় কার্টুন ও গ্রাফিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “আমাদের গত ১৫-১৬ বছরের যে এত এত নিপীড়ন এবং মানুষের যে এত এত গল্প,  এগুলো মানুষ আর্টওয়ারের মধ্য দিয়ে জানছে। মেইনস্ট্রিম (মূলধারার) পত্রিকাগুলোতেও কিন্তু তখন কার্টুন আঁকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।”

নিজের আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, "আয়নাঘর এমন একটি জায়গা, যেখানে মানুষকে গুম করা হতো। আমিও সেখানে ২৪ ঘণ্টা বন্দী ছিলাম। সেই রুমে থাকতে গিয়ে দেখেছি, দেয়ালে সেইসব বন্দিদের লেখা, যারা দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে আটক ছিলেন।"

তিনি আরও বলেন, "যদি শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেন, তাহলে আমরা আরও গভীরভাবে বোঝতে পারব, গত শাসনামলে (আওয়ামী লীগের সময়) আমাদের কী কী ঘটেছিল। আমাদের আন্দোলনও কিন্তু দেয়াল লিখন এবং আর্টওয়ারের মাধ্যমে শক্তি পেয়েছিল। এখন আমরা এসব শিল্পকর্ম সংরক্ষণের বিষয় ভাবছি, যাতে মানুষ কী বলতে চেয়েছিল এবং তাদের অভিজ্ঞতাগুলো কী ছিল, তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।"

নাহিদ ইসলাম জানান, “প্রায় ষোলশ’র  মতো আবেদন জমা পড়েছে গুম কমিশনে এবং সংখ্যাটা বেড়ে পাঁচ হাজার হতে পারে। মানে পাঁচ হাজার মানুষের গুমের অভিজ্ঞতা হয়েছে গত ১৫-১৬ বছরে। এই যে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো, আমরা এই কথাগুলো কেউ বলতে পারতাম না।”

নুসরাত

×