আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেছেন চট্রগ্রামে হিন্দুদের নাম করে ছাত্রলীগ হামলা করছে। হিন্দুদের একটি অংশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার পরাজিত শক্তি দেশে ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামীলীগের পাতানো সাম্প্রদায়িক উসকানিতে কেউ পা দেবেন না। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কামারখন্দ বিএনপির আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খান যেমন ফিরে আসেনি, আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন আপনি শেখ হাসিনাও ফিরে আসবেন না। প্রত্যেক হিন্দু, খ্রিস্ট্রান ও বৌদ্ধরা আমাদের আমানত। কেউ তাদের নির্যাতন করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ চাইছে একটা ঝামেলা করতে, এক্ষেত্রে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, কোনো ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য তাকে পালিয়ে গিয়ে অন্যের ভাত খেতে হচ্ছে। আর আমাদের নেত্রী ঠিকই দেশে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন।
দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে বসে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের সজাগ থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যুদ্ধ কিন্তু শেষ হায় নাই। আমরা কিন্তু ক্ষমতায় আসি নাই, ক্ষমতায় অর্ন্তবতীকালীন সরকার। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাই বিএনপির ক্ষমতায় আসার একমাত্র পথ হলো জনগণের ভোট। একারনে আপনারা দেখেছেন কীভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে নির্যাতন করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশের মানুষ হাসিনার কয়েদি হয়ে গিয়েছিল। ১৬ বছর লড়াই করার পরে আজ আমরা একটা মুক্ত আকাশ দেখতে পাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করতে চাই, আওয়ামী লীগ যতোই ষড়যন্ত্র করুক না কেন তারা আর দেশের ক্ষতি করতে পারবে না। এ জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল-ধোপাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌস। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন দলের রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস সহ স্থানীনীয় নেতৃবৃন্দ।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, তারা খালেদা জিয়াকে টুপ করে নদীতে ফেলে দিতে চেয়েছিল। আজকে আপনি কোথায়। যাদেরকে দেশ দিয়ে দিয়েছিলেন আজ তাদের কাছে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ যদি সাঈদ-মুগ্ধদের, অন্যান্য শহীদদের রক্তে রাজপথ লাল না হতো, পিচ্ছিল না হতো তাহলে আজ এইদিন দেখতে হতো না। আজ ১২ বছর পরে খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে গিয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী তাকে প্রধানমন্ত্রীর মতো সম্মান দিয়েছেন স্যালুটের মাধ্যমে। টুকু বলেন, বিএনপি জনগণের কাছে ওয়াদা করেছে আমরা জনগণকে নিয়ে ক্ষমতায় আসবো, তারা বলেছে এই দেশকে সংস্কার করতে হবে। আ.লীগ লুটপাট করে দেশটা শেষ করে দিয়েছে তাই সংস্কার করা খুব দরকার। এজন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছি, আর সেই ৩১ দফার নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের তারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আমি ১৬ বছর আগে যে কর্মী দেখতাম এখন আরও নতুন নতুন কচি কচি মুখ দেখি। আমি ভেবেছিলাম আমাদের মনে হয় নতুন কর্মী নাই কিন্তু অসংখ্য নতুন মুখ আমাদের কর্মী। এরাই এক সময় দেশের হাল ধরবে, আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এ জন্য তাকে পালিয়ে গিয়ে অন্যের ভাত খেতে হচ্ছে। আর আমাদের নেত্রী ঠিকই দেশে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন।।
নুসরাত