বর্তমানে দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে আমাদের দলের পক্ষ উদ্বেগের কথা উপদেষ্টাকে জানাতে এসেছি। এই বিষয়ে দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে আশা করি। এখন দেশে কোনও অবস্থাতেই বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না।
জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং শান্তি-স্থিরতা বিনষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণ দুর্ভোগে রয়েছে, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে, এই বিষয়টি তাদের সামনে তুলে ধরেছি। এলাকাভিত্তিক টিসিবির ট্রাক বাড়ানোর কথা বলেছি।
তিনি বলেন, যানবাহন চলাচল যেন নির্বিঘ্ন থাকে, সেটা বলেছি। সেই সঙ্গে কৃষিতে বিশেষ করে সার বিতরণের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো আছে সেই সমস্যাগুলো এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ক্ষেত্রে যারা জনগণের পক্ষে আছে তাদের এখানে নিয়ে আসা উচিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি নরমাল অ্যাক্টিভিটিজ যেটা আছে, সেটা যেন সেটা চালু থাকে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি না হয়। তারা যেন নিয়মিত বেতন পান সেজন্য সরকারকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা আরেকটা বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বলেছি— ইউনিয়ন পরিষদ যেগুলো আছে সেগুলোর বেশিরভাগ ফ্যাসিস্ট সরকারের জোরজবরদস্তি নির্বাচনে তাদের মতো লোক নিয়ে বসিয়েছিল। যেহেতু সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এখন ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী নির্বাচন দিতে হবে।
এর আগে বিকেলে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি শুরু হয়।
তানজিলা