সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘পৃথিবীতে সবচাইতে ঘৃণিত অপরাধ হচ্ছে গুম করা।শেখ হাসিনার ১৫ বছরে সবচেয়ে ঘৃ’ণি’ত অপরাধ হচ্ছে গুম করা। একটা ফ্যামিলিকে বা একটা সোসাইটিকে সারাজীবন ভয়ের চাদরে আটকে দিলেন। একজনকে গুম করলে সমাজের অন্যরা ভয়ে থাকে। অন্যরা ভাবতে থাকে পরবর্তী টার্গেট হয়তো তারা।’
বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া বলতে বোঝায় এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পর সেই ব্যক্তিকে আটক করার বিষয়টি অস্বীকার করে। ফলে এই পুরো প্রক্রিয়াটি অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর জোরপূর্বক গুমের শিকার হওয়া তিনজন বাংলাদেশি মুক্ত হন। এই তিনজন হলেন সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমেদ বিন কাশেম ও আদিবাসী আন্দোলনকর্মী মাইকেল চাকমা।
হাসিনার শাসনামলের অবৈধ গোপন বন্দিশালা থেকে আট বছর পর মুক্তি পান আজমী ও আরমান এবং মাইকেল চাকমা পাঁচ বছর পর মুক্তি পান। তিনজনই বলেছেন যে তাঁরা কবরের মতো অবস্থায় আটক ছিলেন, যেখানে সূর্যের আলো দূরের কথা, কোনো আলোই ছিল না এবং বেশির ভাগ সময় তাঁদের হাত বাঁধা ও চোখে পট্টি লাগানো থাকত।
এই তিন বন্দীর মুক্তির পর এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে যে এত দিন ধরে মানবাধিকার সংগঠনগুলো যে অভিযোগ করে আসছিল, তা সত্যি। সংগঠনগুলোর অভিযোগ ছিল, সরকারবিরোধী ও সমালোচকদের দমন করার জন্য জোরপূর্বক গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছিল হাসিনার সরকার।
ছাত্রদের এই আন্দোলনের সময়ও কয়েকজন ছাত্রনেতাকে অল্প সময়ের জন্য জোরপূর্বক গুম করা হয়েছিল, তবে তাঁদের দ্রুতই মুক্তি দেওয়া হয়।
হাসিনার বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের অন্যতম একটি কারণ হলো সমালোচনাকে দমন করতে জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো। আর তাই ড. ইউনূসের সরকারের উচিত রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের এই ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা।
শিহাব