হাইর্কোটরে আদেশ প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে গত কয়কেদনি থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবশে চালিয়ে আসেছে অটো রিকশাচালকরা।
তবে এই আন্দোলনকে উস্কে দিতে রিকশাচালকদের বেশে সেখানে অংশ নিয়েছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে হাতেনাতে ধরেছে গণমাধ্যমকর্মীরা। যদিও আগে থেকেই অভিযোগ ছিলো শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা এই আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ধরা খাওয়া একজনরে পরচিয় প্রকাশ হয়েছে। তিনি একজন ছাত্রলীগ নেতা। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আন্দোলনে অংশ নেওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতা নিজেকে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকে শিক্ষিত। ছাত্রসমাজ আজকে রিকশা চালায়। লোক লজ্জার ভয়ে আমরা বলতে পারি না। আমার পাশে যিনি আছেন তিনি তিতুমীর কলেজের ছাত্র তিনিও রিকশা চালান। আমিও রিকশা চালাই।’
কথা বলার একর্পযায়ে ছাত্রলীগরে ওই নেতাকে মাস্ক খুলতে বলা হয়। কিন্তু তিনি কোনোভাবইে মাস্ক খুলতে চাচ্ছিলেন না। পরে বাধ্য হয়ে মাস্ক খুলে নিজেকে খিলক্ষেত ৪৩নং ওর্য়াড ছাত্রলীগরে সহ-সভাপতি হিসেবে পরচিয় দেন এবং তার নাম আশরাফুল বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশরাফুল খাঁন খিলক্ষেতের ৪৩নং ওর্য়াড ছাত্রলীগরে সহ-সভাপতি। বাসা খিলক্ষেতের পাতিরা পশ্চিম পাড়া। বাবার নাম জিলানি। গ্রামের বাড়ি ময়নসিংহের শেরপুরের গজনী এলাকায়। তিনি আমিরজান কলেজের ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয় ছাত্রলীগের একটি সূত্র যুগান্তরকে জানায়, আশরাফুলের বাড়ি শেরপুরে। এখানে ভাড়া থাকলেও তিনি কৌশলে ছাত্রলীগের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।
আরেকটি ভিডিওতে রিকশাচালকদের আন্দোলনে অনেক শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীকেও দেখা গেছে। তারা সবাই মাস্ক পরেছিলেন। গণমাধ্যমকর্মীদের দেখা মাত্রই তারা আড়ালে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আন্দোলনে অংশ নেওয়া একজন বলেন, আমরা শ্রমিক লীগ। শ্রমিকদের দাবি আদায়ে আন্দোলনে এসেছি।
এমএম