ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আটটি শপিংমল। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাবার সম্পত্তির উপর এই মল গড়ে তোলেন নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হেলাল। তবে, এই মলের উপর শকুনের দৃষ্টি পড়ে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার।
প্রথমে ধোঁয়া তোলেন দলীয় অফিসের জন্য চাই মলের দ্বিতীয় তলা। তবে হেলাল অপারগতা প্রকাশ করায় আসল গুটি চালেন কাদের মির্জা। দলীয় অফিসের নামে আসলেই তার দরকার মলটির পাশে থাকা জমিটি। তবে মল মালিককে জিম্মি করে তার টাকাতে কীভাবে জমিটি হাতানো যায় তার কূটকৌশলের অংশ ছিল শপিংমলের ফ্লোর। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে নিজের সম্পদ বাচাতে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ জমিটি কিনে ওবায়দুল কাদেরের সাফ কবলা রেজিস্ট্রি করে দেন তিনি। দাম পড়ে পৌনে দুই কোটি টাকা।
ওই বছরের ২০ নভেম্বর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জন্য জমিটি দান করে সাফ কবলা করে দেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে বানানো হয় দোতলা ভবন। গেল ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর জনতা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে কার্যালয়টিতে। স্থানীয়দের দাবি আম জনতাকে লুট করাই ছিলো তাদের নেশা। এদিকে, এবার নিজের টাকায় কেনা বেহাত হওয়া জমি ফিরে পেতে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল আদালতের দারস্থ হয়েছেন হেলাল।
মির্জার রোষানলে পড়ে সর্বশান্ত্ব হওয়া আরেক ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম। তার কাছে দাবি করেছিলো ৫০ লাখ টাকা চাদা, না দেয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেন কাদের মির্জা। ন্যায় বিচারের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলনও করেন ফিরোজ, সংবাদ প্রকাশ করা হলেও তা কেয়ার করেনি মির্জা। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে কাদের মির্জাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি এলাকাবাসীর।
শিহাব উদ্দিন