মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান। সংগৃহীত ছবি।
সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে গত ১৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ধানমন্ডিতে একটি তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরে ১৭ নভেম্বর (রোববার) আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আজ, ২০ নভেম্বর (বুধবার), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে শুনানি চলছে। ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা হয় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসি’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের, যারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত।
আজ সকালে, ট্রাইব্যুনালে আসার জন্য তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে করে আনা হয়। গণহত্যা সংক্রান্ত মামলায় তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আদালত এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
বিচারক গঠিত বেঞ্চে, আজকের শুনানিতে বক্তব্য রাখেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, "স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগের আমলে, বিরোধীদলীয় নেতা ও জনগণের যাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ছিল, তাদের গুম করে নির্যাতন ও হত্যার মূল ব্যক্তি ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান।"
এদিকে, আদালতে নিজের বক্তব্যে, জিয়াউল আহসান জানান, “আমরা কারও কল রেকর্ড করি না।” তার দাবি, এই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমি যেখানে চাকরি করি, সেটা হচ্ছে টেকনিকেল জিনিস। সেটা কেউ বুঝে না বলেই উল্টাপাল্টা কথা বলেন। আমরা কারেও কল রেকর্ড করি না।"
জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে গুম, নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে, এবং এসব অপরাধের জন্য তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, তার কর্মকাণ্ডের কারণে বহু নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।