ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াকে গণহত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে

প্রকাশিত: ১৪:১৭, ২০ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াকে গণহত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে

সংগৃহীত ছবি।

সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (১৭ নভেম্বর) তাকে ধানমন্ডিতে একটি তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

গত ১২ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে জিয়াউল আহসানকে একদিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। চিফ প্রসিকিউটর এই সময় জানান, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যায় জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি ছিল।

এদিকে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ছয়জন নিহত হন। এই ঘটনায়, পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, যেটি পরে শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় রূপ নেয়। তদন্তে, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের নাম আসায়, সেনাবাহিনী তাকে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুযায়ী পুলিশে হস্তান্তর করে।

জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০০৯ সালে র‌্যাব-২-এর উপঅধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন। ২০১৩ সালে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। এরপর, ২০১৬ সালে তাকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং তিনি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর পরিচালকের দায়িত্বে আসেন।

এরপর ২০১৭ সালে, তাকে এনটিএমসির (ন্যাশনাল টেররিজম প্রিভেনশন) পরিচালক করা হয় এবং ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকে মহাপরিচালক পদে নিযুক্ত করা হয়। 

বর্তমানে, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, ৬ আগস্ট সেনাবাহিনীতে রদবদলের মধ্যে জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ১৫ আগস্ট রাতে খিলক্ষেত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

নুসরাত

×