ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির শুনানি ফের পেছাল

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ২০ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৩:৪০, ২০ নভেম্বর ২০২৪

খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির শুনানি ফের পেছাল

সংগৃহীত ছবি।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের, ২০ নভেম্বর বুধবার, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। 

এর আগে, খালেদা জিয়া এবং ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য একটি তারিখ নির্ধারিত ছিল। এদিন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, খালেদা জিয়া এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবীরা তাদের ক্লায়েন্টদের অব্যাহতির জন্য শুনানি করেন। কিন্তু শুনানি সম্পন্ন না হওয়ায় আদালত নতুন তারিখ হিসেবে ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেন। 

এই মামলায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য বিচারক নতুন তারিখ দেন। 

২০০৮ সালে, চীনা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়ার কারণে রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি এবং আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলনে অনিয়ম করেছেন, যার ফলে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং ৫ অক্টোবর দুদক খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। 

এছাড়া মামলায়, খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট মোয়াজ্জেম হোসেন। 

অন্যদিকে, সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এম কে আনোয়ার এবং এম শামসুল ইসলামসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে, নিজামী এবং মুজাহিদকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, এবং বাকি পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নুসরাত

×