সংগৃহীত ছবি।
আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন। তবে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এ বছর তার জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বিশেষ কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে না। দলের উপর রয়েছে এক বিশেষ নিষেধাজ্ঞা, যার কারণে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে, যা দলটির নেতাকর্মীরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের আবারও এই নির্দেশনার বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এর আগে, দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, এই বছর তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠান করা হবে না।
তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তার ডাকনাম পিনো। ১৯৮৮ সালে ২২ বছর বয়সে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হিসেবে প্রথম সংগঠনে যোগ দেন, তবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগেই শুরু হয়েছিল। ২০০২ সালে তিনি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্বে আসেন এবং তখন থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দলের সমর্থকদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন।
২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন পরিস্থিতির সময় তারেক রহমানকে কারাগারে যেতে হয়েছিল এবং তিনি গুরুতর নির্যাতনের শিকার হন। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডন চলে যান এবং সেখান থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করেন।
২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ কাউন্সিলে তাকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
এ বছর তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দলের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি একটি সংযমী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করছে, যা দলের শীর্ষ নেতার নির্দেশনায় দৃশ্যমান হয়েছে।
নুসরাত