ইয়াসিন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সাংবাদিক জাহাঙ্গীর মাহমুদকে মারধরের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সোমবার (১৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেন।
সেই সঙ্গে ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনও সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেন।
এর আগে রবিবার দুপুরে রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকায় সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সাংবাদিক জাহাঙ্গীর মাহমুদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়ার বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাহাঙ্গীর মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এই ঘটনায় রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রাসেল আহমেদ বাদী হয়ে ইয়াছিন মিয়া ওরফে ফেন্সি ইয়াছিন, কাজল, রাব্বিল, ইমন, রকিসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর মাহমুদ বলেন, ইয়াসিন মিয়া ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদক, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অপরাধ নিয়ে ভুক্তভোগীদের বক্তব্যসহ এবং প্রশাসনের বরাতে কালবেলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে তার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে ক্ষিপ্ত হন।
গত ১৫ দিন ধরে ইয়াসিন সেই ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বসেন। তাকে সংবাদের বিষয়ে কোনও প্রতিবাদ থাকলে যুক্তিসহ জানাতে বলা হয় এবং সঠিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কোনও চাঁদা দেওয়ার সুযোগ নেই বললে হত্যাসহ মামলা-হামলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, জাহাঙ্গীর মাহমুদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এসআর