বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপিকে যখনই যারা থামাতে গিয়েছে তারাই ধ্বংস হয়েছে। বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না।’
শনিবার (১৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরের বিপ্লব উদ্যানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় যুবদলের দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ ও কালুরঘাট অভিমুখী যুব পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চায়। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নাই। বিএনপি এর জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। প্রয়োজনে আবারও ত্যাগ করতে রাজি আছি। গণতন্ত্রকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি কি হবে সে সিদ্ধান্ত দেবে জনগণ। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য অনেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু পারেনি। গত ১৫ বছরে আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়িঘরে থাকতে পারে নাই। নেতাকর্মীরা চাকরি হারিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। বছরের পর বছর মিথ্যা মামলায় জেলখানায় ছিল।’
বিএনপিকে যারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল আজ তারা কোথায়? আর বিএনপি কোথায় এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা জ¦লে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। বিএনপি আজ অনেক বেশি শক্তিশালী। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। বিএনপিকে যখনই যারা থামাতে গিয়েছে তারাই ধ্বংস হয়েছে। বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চান। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নাই। বিএনপি এর জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। প্রয়োজনে আবারও ত্যাগ করতে রাজি আছি। গণতন্ত্রকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি কি হবে সে সিদ্ধান্ত দেবে জনগণ। এ সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছে। জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কী সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করে পারে নাই। শেখ হাসিনা চেয়েছিল সেও পারে নাই। তাই সেদিকে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।’
দেশের স্বাধীনতাই অনেকের অবদান রয়েছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের অবদান আছে এবং অনেকের অবদানও আছে। জাতির জনক বলতে যা বুঝায়, এগুলো কোনো এক ব্যক্তির কথা নয়, এগুলোর পেছনে নেতাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, জীবন যুদ্ধে নামতে হয়েছে, অনেকে সম্মুখযুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। সবাইকে স্বীকৃত দিতে হবে। অনেকের অবদান আছে, যাদের অবদান আছে আজ পর্যন্ত সবাইকে স্বীকৃত দিয়ে স্মরণ করতে হবে। শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়।’
বিপ্লব উদ্যানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিপ্লব উদ্যানে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের মুখের ওপর বলেছিল ‘আমি তোমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছি’। সে ঘোষণাতে পাকিস্তানের তৎকালীন অফিসারদের অনেককে জীবন দিতে হয়েছে, সে বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি বাঙালি সৈন্যদের নিয়ে বের হয়েছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, পরবর্তীতে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। একথাগুলো পরিষ্কারভাবে আমাদেরকে বুঝতে হবে বলতে হবে এবং জানাতে হবে নতুন প্রজন্মকে। এগুলো ভুলে গেলে চলবে না। স্বাধীনতার একথাগুলো অনেকে বলতে লজ্জা পায়, সাহসও করে না।’
সমাবশে শেষে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ‘We revolt’ এর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুর ঐতিহাসিক স্থান চট্টগ্রাম বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র পর্যন্ত ‘যুব পদযাত্রার’ আয়োজন করে যুবদল।
এমএম