ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মেয়র ডা. শাহাদাত  

আওয়ামী লীগ জাদুঘর থেকে জিয়ার নাম মুছে দিয়েছিল

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস 

প্রকাশিত: ১৮:২২, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগ জাদুঘর থেকে জিয়ার নাম মুছে দিয়েছিল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী সরকার দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে সার্কিট হাউজে স্থাপিত জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে বন্ধ করে রেখেছিল। জাদুঘর থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে দিয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। 

বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে জিয়াউর রহমানের নাম। জিয়ার নাম লেখা যায়, মোছা যায় না। চট্টগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি জাদুঘর সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

শনিবার দুপুরে কাজীর দেউরীর জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের শাহাদাত বরণের বেদনা সিক্ত জিয়া স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী যুবদলের দিনব্যাপী কর্মসূচির এতিম শিশুদের অংশগ্রহনে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মেয়র শাহাদাত বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিপ্লব উদ্যান থেকে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তিনি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে চট্টগ্রামের এই সার্কিট হাউসে শাহাদাত বরণ করেন। এই সার্কিট হাউসে শহীদ জিয়ার রক্ত মিশে আছে। শহীদ জিয়া আমাদের আবেগের জায়গা। সার্কিট হাউস শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত স্থান। 

আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে সার্কিট হাউসে স্থাপিত জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে বন্ধ করে রেখেছিল। জাদুঘর থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে দিয়েছিল। তারা জনগণের কাছ থেকে জিয়াকে আড়াল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। শহীদ জিয়ার নাম বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে। জিয়ার নাম লেখা যায়, মুছা যায় না। শহীদ জিয়া স্মৃতি জাদুঘর সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

জিয়াউর রহমানের ছবি পাহারা দিতে হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের মঙ্গল যারা চায়নি তারাই জিয়াউর রহমানকে সেদিন চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে নির্মমভাবে খুন করেছে। জিয়ার জীবনের শুরুই এ চট্টগ্রামে, শেষও এ চট্টগ্রামে। তিনি বলতেন স্লোগানে মুক্তি আসবে না। আমাদের উৎপাদনমূখী হতে হবে। কর্মমূখী হতে হবে। প্রত্যেকটি মানুষের হাতে কাজ পৌঁছে দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ প্রমুখ।

এসআর

×