বাম থেকে সহিদুল আলম তালুকদার, মু. মুনির হোসন, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ ও ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
ত্রিমুখী গ্রুপিংয়ের কারণে পটুয়াখালীর বাউফলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। যে কারণে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বাউফলে যেসব সহিংস ঘটনা ঘটেছে তার সব কটিতেই জড়িত ছিলো বিএনপি ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েও থামানো যায়নি এসব সহিংস ঘটনা। তার উল্টো চিত্র জামায়াতে ইসলামীর। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে দল বেধে বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি হিন্দু পরিবার ও তাদের ধর্মীয় উপশনালয়গুলোর নিরাপত্তা দিয়েছে।
এই আসনে বিএনপি তিন গ্রুপ নেতৃত্ব দেয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। একসময় আসনটি আওয়ামী লীগের দূর্গ বলে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী সহিদুল আলম তালুকদার সেই দূর্গ ভেঙ্গে বিএনপির জয় ছিনিয়ে আনেন। এরপর বিএনপির নেতৃত্বে আসেন ডেল্টা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দানবীর ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার। তার নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত হলেও সাবেক এমপি সহিদুল আলমের কারণে তিনি বেশী দূর আগাতে পারেননি।
তবে দুঃসময়ে দলকে আগলে রেখেছেন ইঞ্জিনিয়ার ফারুক। আর এর এর খেসারতও দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরে তাকে নিঃস্ব করে ফেলা হয়েছে। তার ১৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ায় পথে বসে যান তিনি। বর্তমানে ব্যবসা পুরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনও এলাকায় যোগাযোগ শুরু করেছেন। বিএনপির দুই গ্রুপ থেকে কিছু নেতাকর্মী ভাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার বাবা আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক হওয়ায় বাউফল উপজেলা বিএনপির কমিটি রয়েছে মু. মনির হোসেন পক্ষে।
সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপির এই তিন গ্রুপই যে যেভাবে পারছে পকেট ভাড়ি করার ধান্দা করেছে। তখন বাউফল জামায়াতে ইসালামী শান্ত মেজাজে তাদের কর্মকান্ড পরিচালিত করেছে। তারা জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারী ও বাউফল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের দিক নির্দেশনায় দল পরিচালনা করছে। জামায়াতে ইসলামী দিন দিন তাদের কর্মকান্ড তৃর্ণমূল পর্যায় বিস্তৃত করছে। বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ করছে। ওই সব সভা সমাবেশ লোকে লোকারণ্য হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মনির হোসেনের নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত রয়েছে। তিনি কেন্দ্রে অবস্থান করলেও আমাদেরকে দল পরিচালনার জন্য দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যেও তিনি এলাকায় এসে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছেন।
বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদার বলেন, বিএনপি তার নেতৃত্বে সুসংগঠিত রয়েছে। এ আসন পুনরুদ্ধার করতে হলে তার কোন বিকল্প নেই।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মাহনগর দক্ষিনের সেক্রেটারী ও বাউফল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাউফলের উন্নয়নের স্বার্থে আমি কাজ করে যাচ্ছেন। ক্ষমতা ভোগের আশায় কিংবা আমার নিজের ভাগ্য পরির্বতনের জন্য নয়। আল্লাহ আমাকে এলাকার সেবায় কবুল করলে আমি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে দিব ইনশাল্লাহ।
এমএম