গিয়াস কাদের চৌধুরী। ফাইল ফটো
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে জিয়া পরিবারের পর আমার পরিবারই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরপরেও বিএনপিকে হৃদয় ধারণ করে আছি। দলের হাইকমান্ড থেকে পাওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে এ কথা বলেন ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবরে জবাব দেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, যা শুক্রবার গণমাধ্যমের হাতে আসে।
নোটিশের জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ নভেম্বর ইস্যুকৃত আপনার শোকজ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমি পেয়েছি। বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও উত্তর দিয়ে বাধিত করছি। কথিত আবেদনকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত নোটিশে আমি, আমার পরিবার ও শুভাকাক্সক্ষীরা ব্যথিত। অভিযোগে উল্লেখিত বিষয়াদি আমি ও আমার পরিবারকে জনগণের সামনে হেয় করার একটি হীন অপকৌশল বলে মনে করি। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আরও উল্লেখ করেন, আমি বিগত ১৭ বছর আওয়ামী রোষানলের পরেও দলের হাল ছাড়িনি। সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দলের সব কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে মামলা-হামলার শিকার ও শহীদ নেতাকর্মীদের দাফন-কাফন সম্পন্নসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাশে ছিলাম।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সর্বজনস্বীকৃত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে জিয়া পরিবারের পরে আমার পরিবারই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে হৃদয়ে ধারণ করে আছি। পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসররা আমাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার চালানোকে তাদের শেষ অস্ত্র মনে করছি। আমি আপনার মাধ্যমে দলের সব নেতাকর্মীকে আহ্বান করবো যেন এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সদা সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকে।
অতএব, আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বিএনপিকে হেয় কিংবা প্রশ্নবিদ্ধ করা কিংবা দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কে বা কারা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলের হাইকমান্ডকে আমি কিংবা আমার পরিবারের বিষয়ে ভুল তথ্য প্রদান করেছে। আমি সম্পূর্ণভাবে জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল।
গত মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র থেকে বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। ধনী ব্যবসায়ীদের তালিকা করে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায়, চাঁদা না দেওয়ায় প্রবাসীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, কমিটি গঠনে বাধা এবং দেশ বিদেশের সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে রাউজানে অস্থিরতা তৈরি এবং রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ডসহ উত্তর চট্টগ্রামের অন্যান্য নির্বাচনী এলাকায় আতংক সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগে তিনদিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
এসআর