শেখ হাসিনা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকায় চলছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট পদে তুমুল প্রতিদন্দ্বিতা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস। আর এর প্রভাব যেন পরেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও। দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে মানুষ। তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারতসহ আরো অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলেছে মার্কিন নির্বাচন।
এদিকে, বাংলাদেশের শাসন থেকে সদ্য ক্ষমতা চ্যুত হওয়া আওয়ামী লীগ চাচ্ছে ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় মসনদে বসুক। কারণ, তাতে নাকি পুনরায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আওয়ামী লীগের জন্য। তাই দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা ট্রাম্পের জন্য দোয়া করে যাচ্ছেন।
শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে ট্রাম্পের জন্য দোয়া করছেন। এ রকমই পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরপাক খাচ্ছে।
যেসব রাজ্য নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে, সেসব রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের মধ্যে ব্যবধান খুবই কম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ও ই-মেইলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৭ কোটি ৮৬ লাখের বেশি নাগরিক। আগাম ভোটারদের মধ্যে ৪১ শতাংশই নিবন্ধিত ডেমোক্রেট সমর্থক। আর ট্রাম্পের দলের সমর্থকদের মধ্যে এই হার ৩৯ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ অন্যান্য দলের নিবন্ধিত ভোটার। কাজেই দেখা যাচ্ছে আগাম ভোটে এগিয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
ইতোমধ্যে গণআন্দোলনের মুখে পতন হওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইবুনাল। সে ক্ষেত্রে দেশে আসলেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। গণহত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকশত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এম হাসান
