সংগৃহীত
বগুড়ার আদমদীঘিতে বিএনপির অফিসে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (৪ নভেম্বর) রাতে র্যাব ও আদমদীঘি থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ঢাকা মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সান্তাহার ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু (৫৬), ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আব্দুল হক আবু (৬০), কুন্দগ্রাম ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান শামিমুল হুদা খন্দকার শামিম (৫২), আদমদীঘি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান (৫৬), উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার নাজিমুল হুদা (৬২), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম সুমন (৪০) ও উপজেলা যুবলীগের নেতা একরাম হোসেন (৪২)।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতা-কর্মি ককটেল, পেট্রোল সাবল ও লাঠিসহ দলবদ্ধ হয়ে উস্কানিমুলক শ্লোগান দিয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। এরপর হামলাকারিরা বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ঘর থেকে বের করে তাতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলে। এ ঘটনায় গত ২৫ আগষ্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের নামে মামলা করা হয়।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান গ্রেফতারকৃত ৭ আসামিকে সোমবার বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।