যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি উম্মে হানি সেতু
আওয়ামীলীগ নেতারা নারী নেত্রীদের ভোগ্যপণ্য মনে করেন, এমনকি যে নেত্রী কোলে বসতে পারেন তিনিই রাজনীতিতে থাকেন ভালো উচ্চতায়। নেতারা বাঁকা চোখে তাকাতেন নারীদের দিকে। নায়িকাদের নিয়ে করতেন ফূর্তি। যে নারীকে ছুঁতে পারতেন, তাকেই দিতেন ভালো পদ। এছাড়াও নেতারা গায়ে হাত দিতেন বলে ভয়াবহ অভিযোগ যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি উম্মে হানি সেতুর।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আওয়ামীলীগের নেতাদের দুর্নীতি, অর্থ লুট, পাচারসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে এর মাঝে নারী কেলেঙ্কারির এক খবরে উত্তাল আওয়ামীলীগের ভিতরে বাহির।
সম্প্রতি একটি ভয়েস রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর লীগের ভিতরের নোংরা পরিবেশ নিয়ে নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক ।
কল রেকর্ডে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের নেতারা কখনই নারীদের সম্মান করেননি। এমনকি নেত্রীদের ভোগের পণ্য হিসেবে দেখেন বড় নেতারা।
সেতু বলেন, ‘দল করেছি কিন্তু কখনো ভালো জায়গায় রাখেনি। নেতারা বাঁকা চোখে তাকাতেন। কেন তাকাতেন সেটাও বুঝতাম। আমি দেখতে সুন্দরী ছিলাম, বিশ্রী তো আর না! যে নারীকে ছুঁতে পারতেন, তাকেই ভালো পদ দিতেন। আমাদের কখনো বোনের মর্যাদা দেননি, সব সময় ভোগের পণ্য হিসেবে দেখেছেন।’
কল রেকর্ডের মাধ্যমে সেতু বলেন লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নায়িকাদের নিয়ে ফুর্তি করতেন, আর এই ধরনের কার্যকলাপের ফলেই আল্লাহর গজব নেমে এসেছে দলের ওপর।’
‘যারা নেতাদের সান্নিধ্যে ছিলেন, তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু আমরা যারা অবাধ্য ছিলাম, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আমি এখন মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার ১৬ মাসের একটি বাচ্চা আছে, অথচ কেউ তার খোঁজ নিচ্ছে না।’
রেকর্ডটি প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করা হয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও রেকর্ডের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন সেতু তবে এই রেকর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর দলের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বারাত