ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১

ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির আন্দোলনের কোনো একক মাষ্টারমাইন্ড নেই: জামাতের আমির 

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির আন্দোলনের কোনো একক মাষ্টারমাইন্ড নেই: জামাতের আমির 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর ও জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির  ডা: শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির জননেতা ডা: শফিকুর রহমান রুকন সম্মেলনে বলেন, ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির আন্দোলনের কোনো একক মাষ্টারমাইন্ড নেই। দেশের মানুষ আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। আন্দোলনের নেতৃত্বের কৃতিত্ব যুবসমাজের।

শনিবার  (২৬ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর ও জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন

জামায়াতে ইসলামীরে আমির  আরও বলেন,যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছি সেইসব বীর শহীদদেরকে জামায়াতে ইসলামী দলীয়ভাবে বিবেচনা করে না। তাঁরা জাতীয় বীর। জনগণ বিভক্ত জাতি দেখতে চায় না। তারা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায়। আমরাও দল-মতের ঊর্দ্ধে উঠে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। দল-মতের ভিন্নতা থাকলেও দেশের জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর বহু আগাছা-পরগাছা মাথা চাঁড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে।

আমিরে জামায়াত বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসসহ সারাদেশের সকল অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। সাড়ে ১৩ বছর আমরা আমাদের অফিসে বসে কোনো কাজ করতে পারিনি। গারে জোরে আমাদের নিবন্ধন এবং প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘর মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। চব্বিশের ছাত্রজনতার আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনাকে শুধু ক্ষমতাই ছাড়তে হয়নি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

আমীরে জামায়াত চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানকেন উল্লেখ করে বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের শেষের দিনগুলো মোটেও সহজ ছিলোনা। আন্দোলনকারীদের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তারা একসাথে বসে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা লড়াই করে জাতিকে মুক্তি এনে দিয়েছে। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে, হাজার হাজার আহতদের আর্তনাদের বিনিময়ে বিজয় এসেছে। সকল শহীদ এবং আহতদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সাধ্যমত শহীদ ও আহতদের পাশে থাকবে। এছাড়াও, তিনি গণবিপ্লবে বগুড়ার শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আয়োজিত রুকন সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি জনাব গোলাম রব্বানী।

তাওফিক

×