ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

‘ভারত আশ্রিত রাজ্য মনে করত বাংলাদেশকে’

প্রকাশিত: ১২:১২, ২২ অক্টোবর ২০২৪

‘ভারত আশ্রিত রাজ্য মনে করত বাংলাদেশকে’

বদরুদ্দীন উমর।

ভারত এখনো পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের পতন হজম করতে পারেনি। এর কারণ ভারতের সঙ্গে তার প্রত্যেক প্রতিবেশীর সম্পর্ক খারাপ। শুধু বাংলাদেশের ওপর কর্তৃত্ব ছিল। ভারত বাংলাদেশকে আশ্রিত রাজ্যের মতো বিবেচনা করত। সেই আশ্রিত রাজ্য হাত ফসকে গেছে।

লেখক-গবেষক, রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত অস্বস্তিতে আছে। তারা চেষ্টা করেছিল হাসিনাকে অন্য জায়গায় দেওয়ার জন্য। অন্য দেশ আশ্রয় না দেওয়ায় ভারতই রাখল।’

বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সব সংগঠন ধসে গেছে। কেউ যদি মনে করে যে আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে..., সেটা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগ যেভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল, এখন আওয়ামী লীগও সেভাবে শেষ হয়ে গেছে।’

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান ছিল বায়ান্ন সাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘটিত অভ্যুত্থানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক, গভীর ও আক্রমণাত্মক বলে উল্লেখ করেন বদরুদ্দীন উমর। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছরে জনগণের ওপর এমন অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, যার কোনো পূর্ব দৃষ্টান্ত নেই। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, কিন্তু বিক্ষোভের সুযোগ ছিল না।’

মুজিব কিসের জাতির পিতা- প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এ দেশের জনগণ দুবার তার (মুজিব) বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করার পর একজন লোকও তার পক্ষে রাস্তায় আসেনি। স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছরে শেখ মুজিব কী করলেন, যার জন্য মানুষ এটা করলো, তা হিসাব করতে হবে। তার আসল পরিচয় পাওয়া যায় যখন ক্ষমতায় আসেন। তখন এ দেশের জনগণকে তিনি কী দিয়েছেন? তারপর গত ৫ আগস্ট সারা দেশের জনগণ শেখ মুজিবের মূর্তি ভেঙে ফেললো। তার বাড়িতে আগুন দিল। এটা শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আরেকটা রায়।’

বর্তমান সরকার নিয়ে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘বর্তমান সরকার এমন কিছু করতে পারবে না, যাতে দেশের মানুষের অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়। বিএনপি নির্বাচিত হলেও সব সমস্যার সমাধান করে দেবে না। বিএনপি আগে ক্ষমতায় ছিল, দেখেছি তারা কী করেছে। প্রকৃত বৈষম্যহীন সমাজ শ্রেণি সংগ্রাম ছাড়া সম্ভব নয়।’

এম হাসান

×