ঈশ্বরদী
ঈশ্বরদীতে টিসিবির কার্ডে মালামাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবর্ষণের ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা আলোচনা সাপেক্ষে লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে টিসিবি কার্ড বরাদ্দের উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে বুধবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা ও জামায়াত নেতা আকরাম আলীর কথা কাটাকাটি। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমানের মধ্যস্থতায় তা সমাধান হয়।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা জামায়াত নেতা আকরাম আলীর বাড়ির দিকে রওনা হলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সেখানে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বিরু মোল্লা বলেন, আকরাম হোসেন এতদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। এখন জামায়াতে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছেন। জামায়াতের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তবে জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন বলেন, আমি ২০১৮ সাল থেকে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাকে আওয়ামী লীগ নেতা বলে অপমানজনক কথাবার্তা বলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আমাদের আগেই কথাবার্তা হয়েছিল। সে অনুযায়ী কাজও চলছিল। কিন্তু বুধবার বিএনপির এক নেতা বলেন- জামায়াত নেতাদের কথায় কাউকে কোনো কার্ড দেওয়া হবে না। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের চারজন কর্মী আহত হয়েছে।
লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে বুধবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। পরে গ্রামে গিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ জমা দেয়নি।
ফুয়াদ