ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় বাড়ি ফিরলেন সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১০ অক্টোবর ২০২৪

বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় বাড়ি ফিরলেন সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান

জামিনে ছাড়া পেয়েছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা পৌনে ২টায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিনি সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। বিকাল সোয়া ৩টায় তিনি শান্তিগঞ্জের বাসভবনে পৌঁছেন বলে জানিয়েছেন তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল আহমদ।

ছাড়া পেয়ে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি ভীষণ ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। ভীষণ অসুস্থও। আমার বিশ্রামের খুব প্রয়োজন। আমি কৃতজ্ঞ, মহামান্য আদালতের কাছে, ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার আইনজীবীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কারাগারে আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়েছে। আমার নিজের উপজেলা শান্তিগঞ্জের সকল মানুষ আমার প্রতি সহমর্মী ছিলেন, তারা রাজপথে বিক্ষোভও করেছেন, তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন। জামিন শুনানি শেষে বয়স্ক ও অসুস্থতা বিবেচনায় আদালত এই আদেশ দেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন। তবে শুনানিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করেননি। তারা দাবি করেছেন, অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তার জামিন শুনানি হয়েছে, এ কারণে তারা বর্জন করেছেন শুনানি।


সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাকে শনিবার (৫ অক্টোবর) সুনামগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতের নির্দেশে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। 

পরে তাকে সিলেটের বাদাঘাট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

এমএ মান্নানকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
 

ফুয়াদ

×