ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

প্রশ্ন রিজভীর

হাসিনার প্রতি ভারতের এতো দরদ কেনো?

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ৩ অক্টোবর ২০২৪

হাসিনার প্রতি ভারতের এতো দরদ কেনো?

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বৈরাচারী হাসিনার সঙ্গে বিগত ১৫ বছরে ভারতের সেসব গোপন চুক্তি হয়েছে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে কাফরুল থানা বিএনপির উদ্যোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কি জানেন না গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণকে কী পরিমাণ অত্যাচার করেছে। তারা কি জানেন না ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪-এর ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছে। তারপরও তার প্রতি আপনাদের এত দরদ কেন? আপনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মর্যাদা দিতে চান না? আপনারা কি বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও অনিচ্ছার গুরুত্ব দিতে চান না?’

তিনি বলেন, ভারতের এক অভিনেত্রী কয়েক দিন আগে বলেছেন একটা দেশ ছিল ভারতের পক্ষে সেটাও হাতছাড়া হয়ে গেছে। একটা দেশ ছিল না, একজন ব্যক্তি ছিল ভারতের পক্ষে। কারণ, ওই ব্যক্তি এ দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এই দেশে একচেটিয়া ভোট করে নিজেদের লোককে ভোট ছাড়া এমপি বানিয়েছে। এই দেশের গণতন্ত্রকে কবরস্থানে পাঠিয়েছে আর সেই শেখ হাসিনাকে ভারত সমর্থন করে বাংলাদেশকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই। তার শরীরে মানুষের কোনো রক্ত নেই। রক্ত পান করে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছেন। রাস্তার মধ্যে লাশ ফেলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছেন। সে জন্য তার বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করেছে, তার পদত্যাগ চেয়েছে; সেই তরুণ হোক ছাত্র হোক যুবক হোক শ্রমজীবী মানুষ হোক সর্বশেষ শিশু-কিশোরদের হত্যা করে সে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা এখন আফসোস করছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখন তারা আফসোস করছেন। খুবই আফসোস করছেন আওয়ামী লীগকে এখন মানুষ বলছে আফসোস লীগ। এ দেশের মানুষের সহায় সম্পদ লুট করার তাদের যে প্রবণতা ওটা যুবলীগ-ছাত্রলীগ এখন করতে পারছে না, তাই তারা আফসোস করছে।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি ভদ্রলোকদের দল। বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি দেশের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের দল। বিএনপি গুন্ডাপান্ডাদের দল না, বিএনপি সন্ত্রাসীদের দল না। বিএনপি বিগত ১৫ বছরে সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে। বিএনপি নেতারা বছরের পর বছর গুম হয়ে থেকেছে তারপরও আমরা গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করেছি।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, যারা বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি বিশ্বাস করে, তারেক রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করে, তাদেরকে এই সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া কয়েক দিন আগেই বলেছেন আমরা শান্তির সমাজ নির্মাণ করতে চাই। আমরা শান্তির সমাজ তৈরি করব। শেখ হাসিনা যেসব তৈরি করেছিলেন বাড়ি দখল ঘর দখল গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়ে যাওয়া এটাই ছিল শেখ হাসিনার ১৫ বছরের আওয়ামী সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি বিএনপি পুনরাবৃত্তি করবে না।

আকরাম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, মাহবুবুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল, মেহেবুব মাসুম শান্ত, জাকির হোসেন, তালুকদার রুমীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পরে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের পরিবারের মাঝে অনুদান তুলে দেন।

বারাত

×