ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১

রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনে জাকের পার্টি ছাত্র ফ্রন্টের সংবাদ সন্মেলন

প্রকাশিত: ২০:৩২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২০:৩৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনে জাকের পার্টি ছাত্র ফ্রন্টের সংবাদ সন্মেলন

সংবাদ সম্মেলন। 

“রাষ্ট্র সংস্কার, রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির রূপরেখা” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করেছে জাকের পার্টি ছাত্র ফ্রন্ট। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাকের পার্টি ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যাদের আত্মত্যাগ ও অবদানে নতুন বাংলাদেশ পেলাম, শহীদ আবু সাঈদ সহ সকল বীর শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। সে সাথে জাকের পার্টি ছাত্র ফ্রন্টের দুই শহীদ ফারহান ফাইয়াজ ও শহীদ জুয়েলকেও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। 

এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে হয়, জাকের পার্টি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে কখনো ছিল না, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৩৬ দলীয় জোটেও ছিল না। 

১. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজ সনদপ্রাপ্ত বেকার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিশ্বায়নের যুগে উন্নতমানের শিক্ষা কার্যক্রম এবং উন্নত দেশগুলোর সাথে তুলনামূলক মানদন্ডে ধারে কাছেও নেই। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে যখন আমাদের তরুণরা কর্মক্ষেত্রে যায়, তখন দেখা যায় শ্রম বাজারে যে শ্রম ভাতা পায় তাতে মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন সম্ভব হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে দেশে শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত না করে শুধু সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেয়ায় এটা দেশের মেরুদন্ড ধ্বংস করে দেয়ার দুঃখজনক পাদপীঠ সৃষ্টি করা হয়েছে।

২. বর্তমানে দেশে শিক্ষিত বেকারত্বের হার ৩৩% এর উর্দ্ধে। আর দেশের ৮৫% যুবক, যাদের বয়স ৩৫ বছরের নীচে। এই বিশাল কর্মশক্তিকে দেশের শ্রম বাজারে যেভাবে সংযুক্ত করার কথা ছিল, পর্যায়ক্রমে সে সকল পদক্ষেপ কিন্তু নেয়া হচ্ছে না। কাজেই যুব বেকারত্বের হার নিরসন কল্পে সংস্কার সাধন করতে হবে।

৩. দেশে পি এইচ ডি, এম ফিল, মাস্টার্স ও রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে যথাযথ বিনিয়োগ নেই। অথচ ইসরাইল একটি ছোট দেশ সারা পৃথিবী কাপাচ্ছে। কারণ তারা রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং প্রযুক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে পারছে। ইসরাইল এক্ষেত্রে জিডিপির ৬%-৭% বিনিয়োগ করছে। সাউথ কোরিয়া রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে বিনিয়োগ করছে ৪.৫%। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করছে মাত্র ০.৫%, যা একেবারেই নগন্য। রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টেই ন্যূনতম ৩% বিনিয়োগ করা দরকার। যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেমি কন্ডাকটর চীপস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডি এন এ সিকোয়েন্সিং, ক্যান্সার ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে উন্নতমানের প্রযুক্তিতে যাতে উদ্ভাবনীয় চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটে-সে জন্য সর্বপ্রথম রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টেই বিনিয়োগ করতে হবে। 

৪. বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রিসার্চিং হাবে পরিণত করতে হবে। এখনো অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি কার্যক্রম নেই। আবার যে সব বিশ^বিদ্যালয় পিএইচডি দেয়া হয়, এম ফিল দেয়া হয়-তার কিছু কিছু ক্ষেত্রে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায়। যা খুবই দুঃখজনক। কাজেই বিরাজমান বৈশি^ক বাস্তবতায় এক্ষেত্রে সংস্কার করতেই হবে। 

৫. জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস মার্কিন প্রেসিডন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠক করেছেন, ৪দিনে আরো ৪০টির মতো বৈঠক করেছেন, আমাদের মধ্যমনি হিসাবে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। তিনি দেশের জন্য ব্যাপক অর্থ তহবিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি এনেছেন। অতীতের ঋণ থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন ঋণের প্রয়োজন। কিন্তু পর্যায়ক্রমিক ঋণ নির্ভরতায় দেশের অর্থনীতি কিন্তু বিপাকে পড়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একেবারে তলানীতে চলে এসেছিল। 

তাই এমতাবস্থায় বলতে হয়, ঋণ নয়, ডোনেশন নয় আন্তর্জাতিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, যেমন এ্যাপল, গুগল, টেসলা সহ এ ধরণের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যাতে আমাদের দেশে বিনিয়োগ করে সে জন্য, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা যেন আমেরিকান সরকারকে আহবান জানায়। 

৬. বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক পুজি বাজারে কেন বিনিয়োগ করতে পারবে না। বৈধ চ্যানেলে, ব্যাংকিং চ্যানেলে আমরা যদি বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি সূত্র বের করতে পারি তাহলে বিনিয়োগে উচ্চ মুনাফা লাভ করতে পারি। 
আমরা ইউটিউব, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসআপ সব ব্যবহার করছি। এ্যাপলের আইফোন, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সিফোন ব্যবহার করছি। অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কিন্ত আমাদের বিনিয়োগের সুযোগ নেই।
এক্ষেত্রে আমাদের উদ্যামী তরুণ প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক পুজি বাজারের সাথে সংযুক্ত করতে না পারি- তাহলে কিন্তু নতুন নতুন অর্থের উৎস থেকে আমরা বঞ্চিত হবো।

৭. দেশীয় পুঁজি বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কথা যদি বলি, তাহলে বলতে হয়, এটি একটি কারসাজির কারখানাতে পরিণত হয়েছে। পুজি বাজারে বিনিয়োগ করলে দেখা যায়, ব্যাপক ধ্বসে পরিণত হয়েছে। জমি ক্রয় করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারী জমি ধরে রাখতে পারছে না। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে? বাংলাদেশের মানুষ কোথায় বিনিয়োগ করবে? এক্ষেত্রে বিনিয়োগের কোন স্থান নেই। তাই আমাদের সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা আন্তর্জাতিক পুজি বাজারে বৈধ পথে বাংলাদেশীদের বিনিয়োগ করার সুযোগ করে দিন।

৮. চিকিৎসাখাত যদি আমরা উন্নত করতে চাই, তাহলে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মন্ত্রী, এম পি, আমলা, প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি, শিল্পপতি, ব্যাবসায়ীদের বাংলাদেশে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এতে চিকিৎসাখাতে অতি শীঘ্র ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।

৯. বাংলাদেশে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে জেলা ভিত্তিক অর্থাৎ ৬৪ জেলায় বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। প্রাদেশিক সরকারের মাধ্যেমে বাজেট বরাদ্দ করলে অর্থের সুষম বন্টন এবং বাজেটের গুণগত ব্যয় নিশ্চিত হবে। এক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী, স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী থাকবে। তবে জাতীয় ভাবে কিন্তু পুলিশ বাহিনী, সামরিক বাহিনী একটি থাকবে। কেননা এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটি আছে। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে সর্বস্তরের মানুষকে মূল অর্থনৈতিক স্রোতধারায় অর্ন্তভূক্ত করতে হলে, অর্থের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে হলে আমাদের অবশ্যই জেলা পর্যায়ে বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। প্রতিটি জেলা, মহানগর সদর দপ্তরের মাধ্যমে বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। যাতে প্রকৃত বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ আমরা পাই।
 
উদাহরণ স্বরূপ বলতে হয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে যদি ১বিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দ হয়, দেখা যায় যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন পায় ৮০ মিলিয়ন ডলার-এ ধরণের বৈষম্য কেন্দ্রীভূত অর্থনীতির কারণেই হয়। তাই দেখা যায়, রাজধানী ঢাকা আর কুড়িগ্রামের মানুষের অর্থের তফাৎটা অনেক।

১০. ধর্ম পালন করার অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। কলেমার ইসলামে আমাদের মুসলমানদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাকের পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেছেন, সংখ্যা লঘু শব্দটা আমরা অমর্যাদাকর মনে করি। সকলেই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। সকলে যাতে সমান মর্যাদা নিয়ে ধর্মীয় অধিকার, নাগরিক অধিকার অক্ষুন্ন রেখে যাতে জীবন যাপন করতে পারি-রাষ্ট্রকে এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। 

বাংলাদেশে চরম পন্থার কোন ঠাই নেই। ইতোমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করছি, একটি অপশক্তি বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ফাটল সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অপচেষ্টা প্রতিরোধ করতে হবে। 
ধর্মীয় বিষয়ে একে অপরের সাথে বিভেদে লিপ্ত থাকবে - এ ধরণের ষড়যন্ত্রের পাতা ফাদে আমরা যেন কেউ পা না দেই। 

১১. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে মনিটরি পলিসি নিবে, তা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নেয়ার এবং বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। যেভাবে ইউ এস ফেডারেল রিজার্ভ অটোনমি দিয়েছে। বাংলাদেশের ফিসক্যাল বডি থেকে মনিটরি বডিকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখা দরকার। যাতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টোটাল অটোনমি থাকে। 
বাংলাদেশের মূদ্রা ছাপানো বা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত, সুদের হার নির্ধারণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের মূদ্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটা অতি জরুরি। ভবিষ্যতে টাকা ছাপিয়ে যাতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে সরবরাহের কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কিন্তু ৪০% পতন হয়েছে। তাই এ কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। 

১২. আমাদের বাজেট ঋণ নির্ভরশীল বাজেট করা যাবে না। বাজেট ঘাটতি অতীতে অনেক হয়েছে। এখন আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্টের নীতি দরকার। আমাদের আমদানী রফতানীর ভারসাম্য দরকার। অবশ্যই আমদানীর চাইতে রপ্তানি বেশি হতে হবে। আর আন্তর্জাতিক ভাবে আমরা যে সব ঋণ নিচ্ছি, ভবিষ্যতে এটা যেন আর না বাড়ে। ঋণ নিয়ে ঘি খাওয়া, এটা কোন ভাবেই টেকসই অর্থনীতি হতে পারে না। আমাদের ঋণের বোঝার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে খেসারত দিতে হবে। 

১৩. ৫৩ বছরে ইতিহাসে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায় নাই। যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই ক্ষমতা কুক্ষীগত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসব মুখর নির্বাচন উপহার দিতে হলে, কালো টাকার প্রভাব বন্ধ করতে হবে। কালো টাকার প্রভাব বন্ধ করা না গেলে ১০০ বছরেও বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। দেখা যায়, টাকার জোরে, ক্ষমতার জোরে যে ভোট কেন্দ্রগুলো দখলে নেয়, নির্বাচনে সেই কিন্তু বিজয় লাভ করে।

কৃষকের সন্তান আর বিত্তশালীর সন্তান - নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার এবং প্রতিদ্বন্ধিতার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য, কালো টাকার প্রভাব তা যদি নির্মূল করা না যায় তাহলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে না। নিরপেক্ষ ও বিতর্কমুক্ত ভোটের জন্য ব্লক চেইন টেকনোলজি ও ই- ভোটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনের দিন নয়, প্রতিদিনই চর্চা করতে হবে। আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার লংঘন হয় এরকম পরিবেশে হঠাৎ করেই অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা চাই, রাষ্ট্রের সঠিক সংস্কার এবং মেরামত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন নির্বাচন দেয়া উচিৎ নয়। কারণ আমরা আবার অতীতের হিংসা হানাহানি রক্তপাতের দুঃখজনক সংস্কৃতিতে ফিরে যেতে চাই না। সকল আগাছা, জঞ্জাল সম্পূর্ণ পরিষ্কার করার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সংস্কার সাধনের পরে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার যাতে ছোট বড় দল বিবেচনায় নয়, সকল দলের অংশগ্রহণে একাটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়।

১৪. দেখা যায়, যে দল ক্ষমতায় থাকে মিডিয়ায় তারা সব সময় প্রধান্য পায়। ছোট ছোট দলগুলোকে মিডিয়ায় সময় দেয়া হয় না। এটা আওয়ামীলীগ, বি এন পি উভয়ের ক্ষমতার সময়ই দেখা গেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন মিডিয়া কমিশনের মাধ্যমে সকলের সমান অধিকার দিতে হবে।

১৫. পুলিশ বাহিনীকে কেউ যাতে লাঠিয়াল বাহিনী হিসাবে ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক থাকতে হবে। 

১৬. দুর্নীতিবাজ, ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক, আমলাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের সাথে যে সকল অভিজাত ব্যাক্তিবর্গ দেশ লুঠ করছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে।
 
ভবিষ্যতে সকল টেন্ডার জাতির সামনে উন্মুক্ত করতে হবে। প্রকল্পের ব্যয়, মুনাফা সহ সব তথ্য উন্মুক্ত করতে হবে। 
ব্যাংকিং খাতে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ১০ কোটি টাকার জমি দেখিয়ে ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়, এটা আর হতে দেয়া যাবে না। পত্রিকার মাধ্যমে জনগণের অর্থের চিত্র জনগণের সামনেই উম্মোচন করতে হবে। তাহলে দুর্নীতি লুটপাট শুণ্যের কোঠায় রাখা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করবে- আর তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষনা করা হবে না, এটা হবে না। 

 

এম হাসান

×