সাইফুল ইসলাম রনি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানোর অভিযোগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় সাইফুল ইসলাম রনি (৩০) নামের এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ছাত্ররা। সে পটিয়া পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে জামিন নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ছাত্ররা ওই যুবলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন।
জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়৷ এসময় বেশ কয়েকজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় ছাত্রদের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় মঙ্গলবার সকালে ২২ জন পটিয়া আদালতে জামিন নিতে যায়। দুই আইনজীবী ২২ জনের জামিনের জন্য আবেদন। এ খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আদালতে ছুঁটে যায়।
এক পর্যায়ে তারা যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রনিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। ছাত্র আন্দোলনের মামলায় আসামীদের পক্ষে জামিন আবেদন না করতে আইনজীবীদের চাপ সৃষ্টি করা হয় । এ কারনে সাইফুল ইসলাম রনিসহ ২২ জনের জামিন আবেদন আইনজীবীরা প্রত্যাহার করে নেন।
পটিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নূর মিঞা এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগে আদালত এলাকায় এক আসামিকে মারধর করে পুলিশে সোর্পদ করেছে ছাত্ররা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ২২ জনের জামিন আবেদনও প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারো জামিন আবেদন না করতে ছাত্রদের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
পটিয়া থানার এসআই আকরাম হোসেন জানিয়েছেন, আদালতে জামিনের জন্য গিয়েছিল আহত সাইফুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের গুলি করার অভিযোগে তাকে মারধর করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। পরে চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিচারক শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এসআর