বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্থায়ীভাবে মুক্তি পেয়েছেন ৩৪ দিন আগে। সাড়ে ৬ বছর বন্দিজীবন কাটিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগের একদিন পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি এখন গুলশানের বাসা ফিরোজায় মানসিকভাবে স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন এবং আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
জানা যায়, খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ হলেও রুটিন মাফিক জীবনযাপন করেন। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে চিকিৎসকদের পরামর্শে ওষুধ সেবন করেন। নিয়মিত ছোটখাট কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাসায়ই করানো হয়। ২৪ ঘণ্টাই তিনি চিকিৎসকদের সার্বিক পর্যবেক্ষণে থাকেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বিভিন্ন পত্রিকা পড়েন। বাসায় রান্না করা পছন্দের আইটেম দিয়ে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা ও রাতের খাবার গ্রহণ করেন। এ ছাড়া খাবার তালিকায় থাকে বিভিন্ন ফল।
প্রতিদিন সুবিধাজনক সময়ে লন্ডন থেকে ফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছেলে তারেক রহমান, ছেলের বউ ডা. জোবাইদা রহমান, নাতনি জায়মা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের মেয়ে জাসিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানসহ দেশ-বিদেশ থেকে স্বজনরা কুশলবিনিময় করেন।
অবশ্য কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের বাসায়ই অবস্থান করছেন। এ ছাড়া টেলিভিশন দেখে ও পত্রপত্রিকা ও বই পড়ে সময় কাটান খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই প্রতিদিন রাতে ঘুমিয়ে পড়েন।
মাঝেমধ্যে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, ভাইয়ের বউ কানিজ ফাতেমা, সেজো বোন সেলিনা ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাসা থেকে খালেদা জিয়ার জন্য তার পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়ে আসেন। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা বলে সময় কাটান। আবার কখনো কখনো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কোনো কোনো নেতা দেখা করতে যান। তখন তিনি দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি এখন দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নন।
সূত্র মতে, খালেদা জিয়া আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থতাবোধ করলেও এখনো দাঁড়াতে কষ্ট হয় এবং অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তিনি দিনের বিভিন্ন সময়ে অন্যের সাহায্য নিয়ে কিছু সময় হাঁটাচলা করেন। তবে খাবার খেতে এখন তেমন সমস্যা হয় না।
দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছরের বন্দিজীবনে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির দাবি জানানো হলেও তার মুক্তি মেলেনি। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের একদিন পর তিনি মুক্তি পান। ৭ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই ভিডিও বার্তায় নয়াপল্টনের বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
এর একদিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তোড়জোর শুরু করে বিএনপি ও তার পরিবারের সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিদেশে চিকিৎসার দাবি উপেক্ষিত হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পর বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মুক্তি পাওয়ায়, যখন খুশি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারায় এবং কারাবন্দি অধিকাংশ নেতাকর্মী মুক্তি পাওয়ায় খালেদা জিয়া মানসিকভাবে স্বস্তি ফিরে পান।
এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাকে লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসাবোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে লন্ডন থেকে তার ছেলের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানসহ ক’জন চিকিৎসক নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করছেন। সেইসঙ্গে দীর্ঘপথ ভ্রমণের জন্য খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সহনীয় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিয়ে যেতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় এসে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি। ইতোমধ্যেই তিনি খালেদা জিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে অবহিত করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে ৪ সেপ্টেম্বর গুলশানের বাসা ফিরোজায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক। দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর পর এই প্রথম কোনো বিদেশী কূটনীতিক তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন সারাহ কুক।
৭৯ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রারাইটিস ও ডায়াবেটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, পরিপাকতন্ত্র ও চোখের রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। এ কারণে ক’দিন পর পর তাকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। তবে তার লিভারের সমস্যা বর্তমানে খুবই খারাপ। তাই বিদেশে গিয়ে তিনি প্রথম লিবারের এই জটিল চিকিৎসা করাবেন। এছাড়াও তার অন্যান্য আরও জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা করানো হবে। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, চিকিৎসা বোর্ডের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে। তবে দীর্ঘ ভ্রমণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। কারণ, বর্তমানে খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা তা দীর্ঘ সময়ব্যাপী ভ্রমণের জন্য ফিট নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুই মামলায় দ-প্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলের কেবিনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওইদিনই তিনি গুলশানের বাসায় ফিরোজায় অবস্থান নেন।
এরপর থেকে ৬ মাস পর পর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এ বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করার একদিন পর দেশের পট পরিবর্তন হলে ৬ আগস্ট স্থায়ী মুক্তি পান খালেদা জিয়া।
২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। করোনাক্রান্ত হয়ে ওই বছর ১৫ এপ্রিল এক ঘণ্টার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যান করানো হয়। রিপোর্ট ভালো আসায় ওইদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো না আসায় ওইদিনই তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ৫৪ দিন পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় ১৯ জুন।
১১৫ দিন পর দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালে ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শরীরের একটি অংশের চামড়া ফোসকার মতো (চাকা) হয়েছিল। এজন্য ২৫ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালে তার বায়োপসি করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৭ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফিরেন ওই বছর ৭ নভেম্বর।
এরপর ১৩ নভেম্বর আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৮১ দিন চিকিৎসা নেন তিনি। তখন হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তিনি সিসিইউতে ছিলেন। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। ৮১ দিন হাসপাতালে থাকার পর ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসায় ফিরেন খালেদা জিয়া।
২০২২ সালের ৬ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, ইমেজিং, ব্লাড ও ইউরিন টেস্ট, লিভার ফাংশন টেস্ট, কিডনি ফাংশন টেস্ট, হার্টের টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করান খালেদা জিয়া। এরপর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা চিকিৎসা ব্যবস্থায় সামান্য পরিবর্তন আনেন। ১০ জুন রাত সোয়া ৩টায় বুকের ব্যথা নিয়ে চতুর্থ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ১১ জুন এনজিওগ্রামের পর তার হার্টে ৩টি ব্লক ধরা পড়লে ওইদিনই একটি ব্লকে রিং পরানো হয়।
পরদিন দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হৃদপি-ে ৩টি ব্লক পাওয়া যায়। এরমধ্যে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। রিং পরানোর ক’দিন পর তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। কেবিনে রেখেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চালায় মেডিক্যাল বোর্ড। এভারকেয়ার হাসপাতালে টানা ১৪ দিন চিকিৎসা শেষে ২৪ জুন গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এরপর ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে পরীক্ষা শেষে রাতেই আবার বাসায় ফেরেন তিনি। এর পাঁচদিন পর ২৭ আগস্ট আবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর ৩১ আগস্ট তিনি বাসায় ফিরেন।
২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পর তিনি গুলশানের বাসায় ফিরে যান খালেদা জিয়া। ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসা বোর্ডের পরামর্শে ওইদিন রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিবিড় পর্যবেক্ষণে ৬ দিন চিকিৎসার পর ৪ মে আবার তিনি গুলশানের বাসায় চলে যান। এরপর আবারও ১৩ জুন তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৫ দিন চিকিৎসা শেষে ১৭ জুন বাসায় ফিরেন। ৫৩ দিন পর ৯ আগস্ট আবারও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওইদিনই হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ মাস ২ দিন পর এ বছর ১১ জানুয়ারি তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেন।
এ বছর ৮ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেদিনই তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেন। এরপর ১৩ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একদিন পর ১৪ মার্চ তিনি বাসায় ফিরেন। ৩০ মার্চ দিবাগত রাত ৩টায় আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে ২ এপ্রিল বাসায় ফিরেন তিনি। এরপর ১ মে সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২ মে রাতে তিনি বাসায় ফিরেন।
২১ জুন গভীররাতে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১১ দিন চিকিৎসা শেষে ২ জুলাই সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেন খালেদা জিয়া। ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। সর্বশেষ ৮ জুলাই খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৪৫ দিন পর ২১ আগস্ট গুলশানের বাসায় ফিরেন। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।