ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপনারা দল গোছান, তবে গোলযোগ করবেন না

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:১৯, ১৩ আগস্ট ২০২৪

আপনারা দল গোছান, তবে গোলযোগ করবেন না

এম সাখাওয়াত হোসেন

আওয়ামী লীগকে নতুন মুখ নিয়ে দল গোছাতে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সাহায্য করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে পাল্টা অভ্যুত্থান নিয়ে হুঁশিয়ারও করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়।

কারণ এদেশের জনগণ এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আর যদি স্বপ্নেও কেউ মনে করেন যে পাল্টা বিপ্লব (কাউন্টার রেভ্যুলুশন) করে আসবেন, তা হলে আবার হাজার হাজার লোকের রক্ত বহাতে হবে। যদি আপনারা সেই দায়িত্ব নিতে চান তাহলে নেন। আমার কিছু করার নেই। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আহত আনসার সদস্যদের দেখার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলছি, আপনারা আপনাদের এলাকায় এগুলো (সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা) ঠিক করেন। আসনভিত্তিক যদি আমরা হিসাব নিতে থাকি তা হলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। আপনারা ভালো করে জানেন আমি নতুন লোক না। গত পাঁচ বছর আপনারা আমার সঙ্গে ছিলেন। ‘আই উইল মেক ইউর দ্যাট কনস্টিটিউন্সিÑএকেবারেই কোনো নির্বাচন যাতে না হয়। এখনো ইনফ্লুয়েন্স রাখি ইলেকশন কমিশনে।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দয়া করে আপনারা দেশকে অরাজকতার মধ্যে ঠেলবেন না, ইনক্লুডিং সদ্য বিদায় হওয়া পার্টি (আওয়ামী লীগ)। আপনারা দল গোছান। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আপনাদের সাহায্য করব। নতুন মুখ, নতুন আঙ্গীকার  নিয়ে এবং রাজনৈতিক আইনের মধ্য দিয়ে পার্টি গোছান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এক সময় মধ্যমানের ধর্মনিরপেক্ষ দল ছিল। মুসলিম লীগ যখন ছিল সেটা ছিল উচ্চ পর্যায়ের।

কত বড় মানুষের দল। যিনি এ দেশ স্বাধীন করেছেন, এতে তো কোনো সন্দেহ নেই। কারও সন্দেহ থাকার কথা না। তার(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) নামে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীনতা হয়েছে। সেই দল এমনভাবে ভেঙে পড়ে যাবে।লোকজন লুকিয়ে বেড়াচ্ছে, আবার পেলে কী জানি হয়।
তিনি বলেন, আমি তাদেরও আশা দিচ্ছি, কথা দিচ্ছি- আপনারা দল গুছিয়ে নেন, আপনাদের দলকে তো কেউ নিষিদ্ধ করেনি।

যদি ওই ধরনের জঙ্গি না হয় তবে একটা দলকে বাতিল করা অযৌক্তি। কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা খুব খারাপ চর্চা। রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় বলেও জানান তিনি।
তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনি একে দিয়ে তাকে দিয়ে গ-গোল করাবেন, আমি আসতেছি আমি যাব। আপনি আসবেন, এটা আপনার দেশ। আপনি আসেন না কেন? নাগরিকত্ব তো কারও যায়নি, ২১ বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব করেছেন। আপনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন, আপনাকে তো কেউ যেতে বলেনি।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বেচ্ছায় গেছেন, আপনি ভালো থাকেন, আবার আসেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। অশ্রদ্ধা করছি না। কিন্তু গ-গোল পাকানোর তো কোনো মানে হয় না। গ-গোল পাকিয়ে তো কোনো লাভ হবে না। বরং জনগণ আরও ক্ষেপে উঠবে।’
১৫ আগস্ট ছুটি থাকবে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। এটা মন্ত্রিসভার কাজ। আমি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ওটা আলোচনা করব।’ জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আইন মন্ত্রণালয়ের কাজ। আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে গেজেট নোটিফিকেশনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। যার কাছে জিজ্ঞেস করার কথা তাকে বাদ দিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন?’
পাল্টা অভ্যুত্থান নিয়ে হুঁশিয়ারি ॥ পাল্টা অভ্যুত্থান নিয়ে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়। কারণ এদেশের জনগণ এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি।’ ক্ষমতাচ্যুতরা আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বিভিন্ন জায়গায়-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘লোক জড়ো করুক আর যাই করুক এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়।

কারণ এদেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি আপনারা আপনাদের পার্টি পুনর্গঠন করেন। পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। পার্টিকে পুনর্গঠন করেন, একটা রাজনৈতিক দলেন মতো থাকেন। নির্বাচন এলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জনগণ ভোট দিলে ভোটে যাবেন।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের উদ্দেশে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এদেশের লোক এত তাড়াতাড়ি ভুলেনি। সময় দেন হয়ত ভুলে যাবে। এত তাড়াতাড়ি ভুলে নাই। কারণ যাকে নেতা মানতেন, সেই নেতারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যাকে ধরছে তাকে আমরা বাঁচাতে পারছি না। অনেক নেতাকে অনেকে বাঁচিয়েছে। আমরা জানি কে কোথায় আছে।

কিন্তু ওটা না করে আপনারা বরং পার্টিকে, এটা অনেক বড় পার্টি, আওয়ামী লীগের প্রতি আমার অনেক বড় সম্মান আছে। এক সময় আমাদের মতো বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল এই দল। আপনারা আসুন, যারা রাজনীতি করতে চান। এখানে মারামারি করে কোনো লাভ নাই। আরও কিছু লোকের মৃত্যু আমরা চাই না। ইতোমধ্যে চারশ’ থেকে পাঁচশ’ তারও বেশি মারা গেছে উভয়পক্ষে। পুলিশের এই অবস্থা হয়েছে। আনসারের এই অবস্থা হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি উসকানি দিতাম তাহলে আপনারা টিকতে পারতেন না, আর্মির ফায়ারে। আমরা আর্মিকে মানা করেছি ডোন্ট ওপেন ফায়ার। কারণ কাকে মারবেন আপনি? আপনারা এই পুলিশকে দিয়ে কাকে মারিয়েছেন? পুলিশকে দিয়ে মারিয়েছেন আপনার সন্তানকে। এটা করবেন না। অনুরোধ করছি প্ররোচণায় আইসেন না। ব্যক্তিগত স্বার্থে আপনারা এত বড় দলকে নষ্ট করবেন না। এটা আমাদের প্রাইড ছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। নষ্ট করবেন না। এটা নষ্ট করবার কোনো অধিকার আপনাদের নাই। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি।’
পাল্টা অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আর যদি কেউ এই স্বপ্ন মনে করে যে এটা করে আবার কাউন্টার রেভ্যুলুশন করে আসবেন। কাউন্টার রেভ্যুলুশন করতে হলে আপনাকে আবার হাজার হাজার লোকের রক্ত বহাইতে হবে। যদি আপনারা সেই দায়িত্ব নিতে চান তাহলে নেন। আমার কিছু করার নেই।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন প্রসঙ্গেও কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমাদের যুবসমাজ এটা করেছে। কোনো রাজনৈতিক দল করে নাই। সেখানে তারা জীবন দিয়েছে।  যেটা আপনারা কোনোদিন দিতে পারতেন না। বুক পেতে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের গুলি খাওয়ার জন্য। তাদের দুঃখ নাই। তারা সকলে হাস্যোজ্জ্বল।

এরা যতদিন আছে, আমাদের কথা বাদ দেন, আমরা দৌড় দেব। এরা যতদিন আছে, এরা দৌড়াবে না। দে উইল ফেস ইউ। সো প্লিজ, আমি অনুরোধ করছি। আমি একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বলছি, দয়া করে দেশটাকে স্বাধীন রাখেন।
৭ দিনের মধ্যে অস্ত্র জমা না দিলে মামলা ॥ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যাদের হাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে আগামী সাত দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট থানায় জমা দেবেন। জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হবে। তিনি বলেন, ‘একটি হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র মামলা, অপরটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র কাছে থাকায় মামলা হবে।

নিষিদ্ধ অস্ত্র সাধারণ জনগণের কাছে কীভাবে গেল আনসার সদস্যদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের ছবি ও ভিডিও থেকে দেখলাম, সিভিল ড্রেসে বেশিরভাগই হচ্ছে যুবক। এই জনগণ কারা আমরা অবশ্যই খুঁজে বার করার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি অফার করছি সাত দিনের মধ্যে, আগামী সোমবারের মধ্যে অস্ত্রগুলো ফেরত আসতে হবে। ফেরত না এলে অস্ত্র অভিযানে যদি আমরা কারও কাছে অস্ত্র পাই, তার বিরুদ্ধে দুটি চার্জ লাগবে (মামলা হবে)। যদি নিজেরা জমা দিতে না পারেন তাহলে কারও মাধ্যমে দেন। যেটাই হোক এই অস্ত্রগুলো আমাদের দরকার।’
পুলিশ বলেছে, এই ইউনিফর্ম তাদের কলঙ্কিত ॥ অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পুলিশের যে বর্তমান ইউনিফর্ম রয়েছে সেটি পরে তারা বের হতে চান না। তারা বলেছেন, এই ইউনিফর্ম তাদের কলঙ্কিত। তিনি বলেন, শতভাগ পুলিশ খারাপ তা বলতে পারব না। পুলিশ নিজেরাই বলেছে এই ইউনিফর্ম তাদের কলঙ্কিত। শতভাগ পুলিশ খারাপ তা নয়। তারা বলেছে, এই ইউনিফর্ম পরে একদিনও বের হতে চান না। তারা কি করেছিল এখন তাদের রিয়েলাইজশন হচ্ছে।’
পুলিশের দাবি ছিল তাদের সিনিয়রদের বিচার করা। এমন প্রশ্নের জবাবে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘একজন বলল আপনি দোষী। তাহলে ঝাঁপিয়ে আপনার গলা ধরতে পারব! তদন্ত লাগবে।’
পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের অবস্থান কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বের হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে দেশটাকে নষ্ট করিয়েন না। অনেক কষ্টে স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীনতা ধরে রাখা অনেক কষ্টকর। আমি নাম বলতে চাই না আশেপাশে দেখেন কি অবস্থা।’

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রবিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে।  বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যরা।  
গণমাধ্যম বন্ধের বক্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ॥ অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘রবিবার আমি যে কথা বলেছি তার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। রাগের মাথায় বলেছি চাটুকারিতা করলে বন্ধ করে দেব। এটা আমার কাজ না।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে আশা করি, ‘আমরা থাকি বা না থাকি, যারা রাজনীতি করেন তারা সহিংসতা হামলা করলে তা প্রকাশ করবেন। প্রকাশ না করতে পারলে সাংবাদিকরা ধর্মঘটে চলে যাবেন। ধর্মঘটে গেলে কি আছে, এক মাস না খেয়ে থাকবেন। মরে তো যাবেন না। সংঘর্ষের ঘটনা একটি বেসরকারি টিভি দেখিয়েছে। আমি তাই ভাবছিলাম, অন্যরা দেখাবে। তিনি বলেন, কোনো মিডিয়ার বন্ধের পক্ষে আমি নই। আমি সব মিডিয়াতে গিয়েছি। প্রত্যেককে চিনি আমি।’
এর আগে, রবিবার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চাটুকারিতা’ করলে মিডিয়া (গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান) বন্ধ করে দেওয়া হবে।

×