আলোচনা সভা।
হযরত আলীর (আ.) গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করতে গিয়ে আওলাদে রাসুল (দ.) শাহ সূফী সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, রাসূল (সা.) নিজে বলে গিয়েছেন, "আমি যার মওলা বা অভিভাবক, হযরত আলীও তার মওলা বা অভিভাবক, মুনিব।" আলী যদি না থাকে হাসনাইন কারিমাইনই তো থাকবে না, আলীকে যদি ভালো না বাসে জান্নাতও থাকবে না। জান্নাতের সর্দার নবী মেয়ে মা ফাতেমাও আমাদের সঙ্গে থাকবেন না। মওলা আলীকে যদি সম্মান না করি তাহলে আমাদের সম্মানও থাকবে না।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে রাজধানীর গোপখানা রোডে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলানায়তনে হযরত আলীর (আ.) মওলাইয়্যাতের অভিষেক উৎসবের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই অভিষেক উৎসব উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন,‘অনেকে নিজেদের আওলাদে রাসূল দাবি করেন কিন্তু হযরত আলীকে মানেন না, তাদের ঈমানের মধ্যে গলদ রয়েছে।’
আন্জুমানে মুহিব্বীনে আহলে বায়ত (আ.) বাংলাদেশ- এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, পীর তরিক্বত সৈয়দ শাহ মোস্তফা হাসান কাদরী আবুল উলায়ী (মা:), ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. গোলাম গাউস কাদেরী,
এছাড়াও গ্রান্ড শায়েখ, রাহে ভান্ডার সিলসিলা ও সাজ্জাদানশিন, চট্টগ্রাম দরবার শরিফ আল্লামা ছুফি ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.), গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্সি ভাষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ আহসানুল হাদী, পাক পাঞ্জাতন দরবার শরীফের পীর শায়খ আল্লামা মোশতাক আহমাদ মুজাহেদী পাঞ্জাতনী, দরবারে পাক ক্বদমিয়া আলিয়া'র সৈয়দ আমিনুল এহসান ফেরদৌস আল ক্বদমি সহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে ‘পাক পাঞ্জাতন’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় মাওলা আলীভক্ত ও আশেকানসহ আলেম ওলামাগন উপস্থিত ছিলেন।
লাবু