মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবারের ঈদ সাধারণ মানুষ কাছে দুঃখ কষ্টের। ঈদে সাধারণত স্ত্রী-সন্তানদের কাপড় দিই… সেই কাপড় আমরা দিতে পারছি না… ভালো খাবার দিই? সেই খাবার দিতে পারছি না… সাধারণ মানুষ ছেলে-মেয়েদের খাবার দিতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পরে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এসব বিষয়গুলো সুপরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একেবারে ধ্বংস করে দেশকে পরনির্ভরশীল করার জন্যই এসব করছে বর্তমান সরকার।’ এসময় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ‘ঈদ মোবারক’ জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এক কঠিন দুঃসময় চলছে। আমাদের দল শুধু নয়, সারাদেশে বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে…আমাদের নেতারা কারাগারে। আপনারা জানেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করেছে, হত্যা করেছে, নিপীড়ন-নির্যাতন করেছে, কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। তারপরেও এদেশের মানুষ তারা গণতন্ত্রের জন্য, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে চলেছে, লড়াই করে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে এ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে… এখানে বিশদ বলার কিছু নেই। শুধু এটুকু বলতে চাই, এভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ আজকে দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল একটি যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।’
এসময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রফিকুল ইসলাম জামাল, আবেদ রাজা, রফিক শিকদার, মহানগরের আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, ইয়াসিন আলীসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এম হাসান