ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দেবর-ভাবির লড়াইয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত: ২০:১৪, ৭ মার্চ ২০২৪

দেবর-ভাবির লড়াইয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতাকর্মীরা

জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ 

৯ মার্চ রওশন এরশাদের ডাকা সম্মেলন নিয়ে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে। একদিকে সম্মেলন করতে জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছেন রওশনপন্থিরা। অপরদিকে সম্মেলন নিয়ে মাথাব্যথা নেই মন্তব্য করলেও, সাড়া না দিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চিঠি পাঠাচ্ছেন জি এম কাদেরপন্থিরা।

দলের কর্তৃত্ব দখলে দীর্ঘদিন ধরেই দুই মেরুতে দেবর-ভাবি (রওশন-জি এম কাদের)। পুরোনো লড়াই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। ধাপে ধাপে অব্যাহতি, বহিষ্কার আর পদত্যাগে চিড় ধরেছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত দলটিতে। সেই ফাটলে ক্ষণে ক্ষণে আসছে নতুন মোড়।

নির্বাচনের পর সংসদে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আর স্বঘোষিত চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ ব্যস্ত সম্মেলনের প্রস্তুতিতে। সবমিলিয়ে আবারও শিরোনামে দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব।
 
৯ মার্চে ডাকা রওশন এরশাদের সম্মেলন নিয়ে এবার নতুন উত্তেজনা। কাউন্সিল করতে জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছেন রওশনপন্থিরা। দেয়ালে দেয়ালে লাগানো হয়েছে পোস্টার, দফায় দফায় চলছে নেতাকর্মীদের বৈঠক।
 
রওশপন্থিদের এমন উৎসবে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু যেন একটু বেরসিকই। জাতীয় পার্টি নামে আরও অনেক দলই আছে মন্তব্য করে মহাসচিব জানান, এই সম্মেলনকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেন, ‘মই মার্কা, কাঁঠাল মার্কা, আম মার্কা, বহুত রয়েছে। আরেকটা নাম ঘোড়া মার্কা হবে। এতে কিছু আসে যায় না। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কায় জি এম কাদের আছেন। এতে কে কী করলো না করলো কিছু যায় আসে না।’

তবে, সম্মেলন নিয়ে মাথাব্যথা নেই মুখে বললেও, রওশনপন্থিদের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের সাড়া না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে জি এম কাদেরপন্থিদের পক্ষ থেকে।

জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, ‘পোস্টার করেছি লাঙ্গল মার্কা দেয়া আছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবি দেয়া হয়েছে। যাতে কেউ বিভ্রান্তিতে না পড়ে এ জন্য চিঠি দেয়া।’

এদিকে রওশনপন্থিদের দাবি, শত চেষ্টা করেও সম্মেলন আটকানো যাবে না। বরং এটিই হবে দলের ঐতিহাসিক সম্মেলন।

রওশনপন্থি দলের নেতা বলেন, ‘সম্মেলন নিয়ে তারা আমলেই নিচ্ছে না, আবার জেলায় জেলায় চিঠি পাঠাচ্ছে। তাদের দৈন্যতা কোথায় পৌঁছেছে তা বোঝাই যাচ্ছে।’

দেবর-ভাবির এই লড়াইয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এরশাদপত্নীর ডাকে সাড়া দিয়ে নতুনে ভিড়বেন, নাকি জি এম কাদেরের সঙ্গে সুসংগঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন নেতারা- এই নিয়ে রয়েছেন দোটানায়।

 

এস

সম্পর্কিত বিষয়:

×