মির্জা আব্বাস
রাজধানীর পল্টন ও রমনা মডেল থানায় করা পৃথক ৯ মামলার মধ্যে ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বাকি তিন মামলার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনও জামিন পেয়েছেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন পল্টন থানার পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে এবং রমনা থানার চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে জামিনের আদেশ দেন আদালত।
দুপুরে মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। একপর্যায়ে এ আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এস