আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র। সেই বাস্তবতায় নির্বাচনের মাঠে সরব থাকবে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্বশীল প্লাটফর্ম সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। দেশের প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিতকরণে কাজ করবে জোটের স্থানীয় কমিটি এবং জোটের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ফেডারেশনের সংস্কৃতি কর্মীবৃন্দ। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি তারা নির্বাচনের পূর্বে কিংবা পরে সাম্প্রদায়িকতা প্রতিহতকরণে ভূমিকা রাখবে। এ জন্য দেশের প্রতিটি নির্বাচনী আসনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা গড়ে তুলবে। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের জেলা, উপজেলায় জোটের উদ্যোগে নির্বাচনকে সফল, গ্রহণযোগ্য করতে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সংস্কৃতি কর্মীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আদর্শিকভাবে আমরা নিরপেক্ষ নই। আমাদের আদর্শ মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের আদর্শ ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্ন। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে বিজয়ী করাকে এই মুহূর্তে আমাদের করণীয় বলে মনে করি। তাই সবার প্রতি আহ্বানÑ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাব, আমার ভোট আমি দেব, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে দেব। এভাবেই নির্বাচনে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তিকে পরাজিত করতে গণজাগরণ সৃষ্টি করবে সংস্কৃতিকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলন জোটের সাধারণ সম্পাদক মোা. আহ্্কাম উল্লাহ্্র সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন গোলাম কুদ্দুছ। উপস্থিত ছিলেন পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান, জোটের সহ-সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ গিয়াস, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য রেজিনা ওয়ালী লীনা।
বিএনপি-জামায়াতসহ কতিপয় রাজনৈতিক দল হরতাল-অবরোধের নামে হিংসাত্মক কার্যক্রম চালাচ্ছে উল্লেখ করে তার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারা দেশে একটি অমানবিক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে সচেষ্ট হয়েছে। ট্রেন, বাস, ট্রাকসহ গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে ইতোমধ্যে নারী-শিশুসহ বেশকিছু নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে এবং অগ্নিদগ্ধ আহতের সংখ্যাও অগণিত, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বহুদলীয় গণতন্ত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না করার অধিকার সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিকেরই রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদানে আগ্রহীদের বাধা প্রদানের অধিকার কারও নেই। আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা এবং ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসী কর্মকা- কোনোভাবেই কাম্য নয়। একটি শান্তিপূর্ণ গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান গণতন্ত্রের ভিত্তি।