ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সাকিবকে তলব

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সাকিবকে তলব

সাকিব আল হাসানের শোডাউন। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী ও জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

নির্বাচনী এলাকা-৯১ ও মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানীর কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এই তলব আদেশ দিয়েছেন। তাকে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) অনসুন্ধান কমিটির কাছে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

তলব আদেশে বলা হয়েছে, ‘আপনি জনাব সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসিবে ঘোষণার পর গত ২৯/১১/১৫ খ্রি. তারিখ বুধবার ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথিমধ্যে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়ীবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন এবং নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮ (ক), ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন।’

তলবকৃত চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘উক্ত আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তদমর্মে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (সত্যব্রত শিকদার, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি, নির্বাচনী এলাকা-৯১, মাগুরা-১ এবং জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত, মাগুরা) দপ্তরে আগামী ৩১/১২/২০২৩ খ্রি. তারিখ শুক্রবার বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’

বুধবার প্রথমবার নির্বাচনী এলাকায় যান সাকিব। মাগুরায় পৌঁছে একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে দুপুরে জেলার দলীয় কার্যালয়ে সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন তিনি নিজে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।

 এসআর

×